ফিঙ্গার প্রিন্ট জালিয়াতি করে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের সিএসপি অপারেটরের বিরুদ্ধে। খেজুরির হেঁড়িয়া এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান প্রতারিতরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যাঙ্কের হেঁড়িয়া শাখার কর্মীরা জানিয়েছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর আনা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে হেঁড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ব্যাঙ্কের হেঁড়িয়া শাখার অধীন এই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে গ্রাহকরা টাকা তুলতে বা জমা দিতে এলে সার্ভার ডাউনের অজুহাত দিয়ে একাধিকবার ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হতো। পরে গ্রাহকের অনুপস্থিতিতে সেই ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হতো। পাশবই আপগ্রেড করার সময় ও টাকা তোলার এসএমএস থেকে এই গরমিলের বিষয়টি নজরে আসে গ্রাহকদের।স্থানীয় জারারনগরের বাসিন্দা মিলন প্রধানের অভিযোগ, গত শুক্রবার তাঁর বাবা ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের অপারেটরের কাছে কেওয়াইসি আপগ্রেড করতে গিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা তুলবেন বলে জানালে তাঁর বাবার ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয় অভিযুক্ত। একবার নয়, একাধিকবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পরে সার্ভার ডাউনের অজুহাত দিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।মিলন বলেন, ‘আমি বাইরে থাকি। বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আমার ফোন নম্বর দেওয়া আছে। আমার কাছে মেসেজ আসে একবার ১০হাজার টাকা ও পরে ২৫ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। আমি টাকা তোলার বিষয়ে বাড়িতে ফোন করলে বাবা জানায়, দু’তিনবার আঙ্গুলের ছাপ নিলেও সার্ভার ডাউন বলে কোনও টাকা তুলতে পারেনি।’ তাঁর অভিযোগ, বিকেলে টাকা তোলার বিষয়ে অপারেটরকে ফোন করতে ১০হাজার টাকা তোলার কথা স্বীকার করে সে। তবে ২৫ হাজার টাকা তোলার কথা সে অস্বীকার করেছে।আরও এক প্রতারিত নমিতা জানা বলেন, ‘গত ২৪ ডিসেম্বর ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম ব্যাঙ্কে জমা করতে। কিন্তু আজও সেই টাকা জমা পড়েনি।’ কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ‘অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি পুলিশের কাছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’