Kaustav Bagchi : কংগ্রেস থেকে ইস্তফা কৌস্তভ বাগচীর, পদত্যাগ পত্র পাঠালেন হাইকম্যান্ড ও প্রদেশ নেতৃত্বকে
এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজ্য রাজনীতিতে বড় খবর। কংগ্রেস ছাড়লেন কৌস্তভ বাগচী। ইতিমধ্যেই দলের সর্বভারতী সভাপতি ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কাছে নিজের পদত্যাগদ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন কৌস্তভ। দলের সমস্ত পদ থেকেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে কৌস্তভের কার্যত অভিযোগ, সর্বভারতীয় কংগ্রেস রাজ্যে তৃণমূলকেই গুরুত্ব দেয়। তাদের কাছে প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই নেই। এদিকে কৌস্তভ কংগ্রেস থেকে পদত্যাাগ করায় তাঁর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি আগামীদিন বিজেপিতে যোগদান করবেন কি না, উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্নও।প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরেই প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল কৌস্তভ বাগচীর। অন্যদিকে সাম্প্রতিককালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও দেখা যায় তাঁকে। গত সেপ্টেম্বর মাসে নিয়োগের দাবিতে মিছিল করেন গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীরা। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে দিয়ে গিয়েছিল সেই মিছিল। তাতে অংশ নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি সেই মিছিলে দেখা যায় কৌস্তভ বাগচীকেও।এমনকী বিরোধী দলনেতা হিসেবে অতীতে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকার প্রশংসাও করতে দেখা গিয়েছে কৌস্তভ বাগচীকে। সেই সময় তাঁকে বলতে শোনা যায়, বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। কংগ্রেসে থাকাকালীন তিনি বলেন, 'আমাদেরও একজন বিরোধী দলনেতা ছিলেন, কিন্তু মানুষ জানতেনই না! এখন বিরোধী দলনেতা কে মানুষ জানেন, তাই বিরোধী দলনেতার পারফরম্যান্সকে কোনওভাবেই ছোট করে দেখা যাবে না।' অতিসম্প্রতি কৌস্তভ বাগচীর বাড়ির গণেশ পুজোয় অতিথি হয়েও গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা পরম্পরায় রাজনৈতিকমহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কি শীঘ্রই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন কৌস্তভ বাগচী? আপাতত অবশ্য কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছেন কৌস্তভ। তবে বিজেপিতে যোগ দেবেন কি না, তা অবশ্য সময় বলবে।এদিকে কোস্তভের পদত্যাগ ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিকমহলে। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন, 'তিনি (কৌস্তভ বাগচী) মনে করেছে পদত্যাগ করেছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে যত আন্দোলন চলছিল, তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডকে যখন বিজেপি আক্রমণ করে, তখন তিনি চুপ করে থাকেন। বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের যে আপোষহীন সংগ্রাম তাতে বোধ হয় কোথাও অস্বস্তি বোধ করছিলেন।'