রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে উষ্মা প্রকাশ করল ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডির বিশেষ আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র কাছে বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় জানতে চান, ‘যে সব নথিপত্র রয়েছে, তাতে এই মামলা কত দূর এগোবে? কতক্ষণ ট্রায়ালে দাঁড়াতে পারবে?’তিনি অভিযুক্তের অধিকার প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি ১০-১৫ বছর ধরে ট্রায়াল চলে, তার পর কিছু প্রমাণ না হয়, তা হলে ১৫ বছরের জন্য অভিযুক্তকে কে ক্ষতিপূরণ দেবে? সঠিক তথ্যপ্রমাণও জোগাড় করে স্বচ্ছতা দেখাতে হবে। অভিযুক্তের অধিকারও এ ক্ষেত্রে মূল্যবান।’মঙ্গলবার রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বিশ্বজিৎ দাসকে আদালতে পেশ করা হয়। সওয়ালে তাঁর আইনজীবী শ্যামল ঘোষ বলেন, ‘আমার মক্কেল কোনওভাবে এই মামলায় অভিযুক্ত নন। তিনি দোষী হলে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরতেন না। দুবাই পালিয়ে যেতেন।’ এদিন তিনি জামিনের আবেদন করলেও, বিচারক তা খারিজ করে বিশ্বজিৎকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।ইডি-র অভিযোগ, ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের টাকা বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে পৌঁছে দিতেন বিশ্বজিৎ। এদিন সওয়াল-জবাবের সময়ে ইডির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘আপনি নিজেকে ডিফেন্স (অভিযুক্ত) ভাবুন। বিশ্বজিতের ভূমিকাও বা কী?’ইডির আইনজীবী বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা বিশ্বজিতের মাধ্যমে পাচার হয়েছে। কেস ডায়েরিতে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে।’ বিচারক শেষে বলেন, ‘দেখি, ইডি কেমন তদন্ত করে!’