Calcutta High Court : কেন অ্যারেস্ট হবেন না পুলিশ অফিসারই, তীব্র ক্ষোভ কোর্টের
এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে ৯ ফেব্রুয়ারি। আর যে অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এফআইআর হলো, সেই অভিযোগপত্রে তারিখ রয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি। আর সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই সন্দেশখালি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল সেখানকার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে। পুলিশের এই ভূমিকা দেখে মঙ্গলবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।নিরাপদর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করে এদিনই তাঁকে ছাড়ার নির্দেশ দেয় আদালত। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ছ’ঘণ্টার মধ্যে বসিরহাট জেল থেকে ছাড়া পেলেন সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ। শুধু জামিন মঞ্জুর করা নয়, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে কার্যত ভর্ৎসনা করে ডিভিশন বেঞ্চ।কটাক্ষের সুরে আদালত বলে, ‘পুলিশ তো দারুণ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে। কীভাবে একজন নাগরিককে এভাবে হেফাজতে নিতে পারে পুলিশ?’ সরকারি কৌঁসুলিকে উদ্দেশ করে বেঞ্চ প্রশ্ন করে, ‘কেন এই পুলিশ আধিকারিকদের এখনই গ্রেপ্তার করা হবে না? এতদিন উনি হেফাজতে আছেন। কে এই ক্ষতিপূরণ দেবে?✓এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর যে, এই ধরনের একটা অভিযোগের ভিত্তিতে কীভাবে একজন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হলো!’ এনিয়ে বসিরহাট জেলা পুলিশের পুলিশ সুপারের ব্যাখ্যা-সহ রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।এদিনের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, যদি কোনও কারণে এদিনই নিরাপদকে জেল থেকে মুক্ত করা না হয়, তাহলে আদালত অবমাননার নোটিস ইস্যু করা হবে। যদিও এরপরে আর প্রশাসন কোনও ঝুঁকি নেয়নি। ১৭ দিন জেল হেফাজতে থাকার পরে এদিন সন্ধেয় ছাড়া পান নিরাপদ। বসিরহাট উপ সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে নিরাপদকে ফুলের মালা পরিয়ে মিছিল করে সিপিএমের নেতা-কর্মীরা নিয়ে যান বসিরহাট টাউন হলের পাশে অবস্থিত দলীয় পার্টি অফিসে।প্রাক্তন বিধায়কের কথায়, ‘আমাকে অন্যায় ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। কারণ, ওরা বুঝেছিল আমাদের আটকে রাখতে পারলে হয়তো সন্দেশখালিতে ওদের কাজটা ঠিকঠাক হবে। কিন্তু সন্দেশখালির মানুষ তা করতে দেননি।’ এর আগে সন্দেশখালি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চের প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য পুলিশকে। এদিন নিরাপদর জামিন মামলায় ফের তার পুনরাবৃত্তি হলো।সন্দেশখালিতে শিবপ্রসাদ ওরফে শিবু হাজরাদের হ্যাচারিতে আগুন লাগানো ও এলাকায় গোলমাল পাকানোর অভিযোগে পুলিশ নিরাপদকে গ্রেপ্তার করে।✓এদিন তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে আদালত শর্ত দিয়েছে,✓পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতে শুনানির সময়ে তাঁকে রোজ হাজিরা দিতে হবে। সাক্ষীদের কোনওভাবে হুমকি দেওয়া বা প্রভাবিত করা যাবে না। তথ্য বিকৃত করা যাবে না। যদি জামিনের শর্ত তিনি না মানেন, তাহলে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়াই নিম্ন আদালত জামিন খারিজ করতে পারবে।অন্যদিকে, সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে কলকাতায় ময়দানে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে গেরুয়া শিবিরের ধর্নায় অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আদালত শর্ত দিয়েছে, মাইক-লাউডস্পিকার ছাড়া ধর্না কর্মসূচি করতে হবে।✓১৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মী-সমর্থকের জমায়েত করা যাবে না।✓আজ, বুধ ও কাল, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধর্না চালানো যাবে। কোলকাতা উচ্চ আদালতের রায়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়