• World Third Largest Mosque : নির্মাণ খরচ প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি! উদ্বোধন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদের
    এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • মক্কা এবং মদিনার পর এবার বিশ্বের তৃতীয় সর্ববৃহৎ মসজিদ নির্মাণ হল আলজিরিয়ায়। দেশের রাজধানী আলজিয়ার্সে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে জামে আল-জাজায়ের বা দ্য গ্রেট মস্ক অফ আলজিয়ার্স।বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদগত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এই মসজিদটির উদ্বোধন করেন আলজিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদুল মাজিদ তেবোউন। তবে এই অনুষ্ঠানটি কেবলমাত্র অফিসিয়াল ছিল। কারণ গত পাঁচ বছর ধরে মসজিদটি পর্যটক এবং দর্শনার্থীদের জন্য খোলা রয়েছে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাস থেকে সেখানে নমাজ পাঠ হয়। তবে সে সময় আলজিরিয়ার প্রেসিডেন্ট করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদটি উদ্বোধন করতে পারেননি। এরপর থেকেই দেশে শুরু হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা। সেই দীর্ঘ সমস্যা কাটিয়ে অবশেষে চার বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় দ্য গ্রেট মস্ক অফ আলজিয়ার্সর।কী কী বিশেষত্ব?বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এই মসজিদে রয়েছে ২৬৫ মিটার অর্থাৎ ৮৬৯ ফিট উঁচু একটি মিনার। এ ছাড়াও গ্রেট মস্ক অফ আলজিয়ার্সতে রয়েছে হেলিপ্যাড, ১৬ হাজার বর্গ কিলোমিটারের দু'টি কনফারেন্স হল এবং দু'হাজার আসন বিশিষ্ট গ্রন্থাহার। ১০ লাখ বই রাখার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। মসজিদটির নীচে ১ লাখ ৮০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের তিনতলা গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা করা হয়েছে।আলজিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল আজিজ বুতেফ্লিকারের মস্তিষ্কপ্রসূত এই চোখ ধাঁধানো মসজিদ। তিনি আফ্রিকার বৃহত্তম মসজিদ নির্মাণের সংকল্প নিয়েছিলেন। মরক্কোর কাসাব্লাংকায় রয়েছে দ্বিতীয় হাসান মসজিদ। সেই অনুরূপেই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এই মসজিদের নাম প্রথমে রেখেছিলেন আবদেলাজিজ বুতেফ্লিকা মসজিদ। যদিও ২০১৯ সাল আলজিরিয়ায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে প্রেসিডেন্ট বুতেফ্লিকা পদত্যাগ করেন। দীর্ঘ ২০ বছরের শাসনের অবসান ঘটে আলজিরিয়ায়। তিনি পদত্যাগ করলেও ২০১৯ সালে নির্ধারিত ডেডলাইন মেনেই মসজিদ নির্মাণ সম্পন্ন হয়। যদিও সে সময় মসজিদটির উদ্বোধন সম্ভব হয়নি। এমনকী নামও বদলে ফেলা হয় সেটির।আকাশছোঁয়া নির্মাণ খরচ২৭.৭৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দ্য গ্রেট মস্ক অফ আলজিয়ার্স। এই মসজিদ নির্মাণে খরচ হয়েছে ৮৯৮ মিলিয়ন ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৭ হাজার ৪৪২ কোটি ৫৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা। ২০১২ সালে একটি চিনা সংস্থা এই মন্দিরটির নির্মাণ শুরু করে এবং কাজ সম্পন্ন হয় ২০১৯ সালে। তবে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় মসজিদটি নির্মাণ হওয়ায় বেশ সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় আলজিরিয়া সরকারকে।
  • Link to this news (এই সময়)