হৃদরোগ কাড়ল প্রাণ, তাঁর নামাঙ্কিত হাসপাতালেই মৃত্যু রাজীব গান্ধীর হত্যা মামলায় দোষী সান্থানের
এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় সদ্য যাবজ্জীবন সাজা থেকে মুক্তি পাওয়া সান্থান ওরফে সুথেনথিরাজার মৃত্যু হল। শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় ভর্তি করা হয়েছিল চেন্নাইয়ের একটি সরকারি হাসপাতালে। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে লিভারের অসুখে ভুগছিলেন সান্থান।রাজীব হত্যায় দোষী সাব্যস্ত সান্থান দীর্ঘদিন ধরে লিভারের অসুখে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চেন্নাইয়ের রাজীব গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে বুধবার সকালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫।সিরোসিস লিভারে আক্রান্ত সান্থান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর আগে গত জানুয়ারি মাসেও শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সান্থানকে।চেন্নাইয়ের রাজীব গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক ই থেরানিরাজন জানিয়েছেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় সান্থানের শারীরিক অবস্থা গুরুতর ছিল। এরপর অবস্থার ব্যাপক অবনতি ঘটে। আইসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। পরে শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে অবস্থার ফের অবনতি হয়। পেটে তরল পদার্থ জমে গিয়েছিল এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ফুলে গিয়েছিল। ভোর ৭টার সময় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ওই চিকিৎসক।১৯৯১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যামামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল সান্থানকে। পরে মৃত্যুদণ্ড রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। প্রায় ৩২ বছরের বেশি সময় কারাদণ্ড ভোগ করার পর ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সান্থান সহ এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরও ৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।তাদের মুক্তির পর ত্রিচির কেন্দ্রীয় কারাগার চত্বরে একটি বিশেষ শিবিরে রাখা হয়েছিল সান্থান সহ অন্যান্যদের। কারণ, তাঁরা ছিলেন শ্রীলঙ্কার নাগরিক। তাঁদের কাছে ছিলনা কোনও পাসপোর্ট। সেই শিবিরে থাকার সময় লিভারের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। কয়েকদিন আগে শ্রীলঙ্কায় বৃদ্ধ মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন সান্থান। কিন্তু আর যাওয়া হল না তাঁর। পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে।