আধার কার্ড না থাকলেও ভোটদান করতে কোনও সমস্যা হবে না। আশ্বস্ত করল নির্বাচন কমিশন। ভোটার কার্ড সঙ্গে থাকলেই নিশ্চিন্তে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন দেশের যে কোনও প্রান্তের নাগরিক। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আধার কার্ড ছাড়া ভোটদান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। পার্টির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে এই মর্মে সাক্ষাতও করে। তাঁদের আশ্বস্ত করে কমিশন জানিয়েছে, ভোট দেওয়ার জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। সেটি ছাড়াও ভোট দিতে পারবেন আমজনতা।সম্প্রতি সুখেন্দু শেখর রায়, দোলা সেন, সাকেত গোখলে, প্রতিমা মণ্ডল এবং সাজদা আহমেদ আধার কার্ডের ইস্যু নিয়ে নির্বাচন কমিশনে সাক্ষাৎ করেন। সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, 'নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছে, যদি কোনও ব্যক্তির কাছে আধার কার্ড নাও থাকে তাঁদের ভোটদানে কোনও বাধা দেওয়া হবে না। আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। ভোটার কার্ড থাকলে অনায়াসেই ভোট দিতে পারবেন সেই ব্যক্তি।'রাজ্যের একাধিক জেলায় আধার কার্ড বাতিল হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভোটদানের সুযোগ মিলবে কি না, তা নিয়ে অনেকে সংশয়ে ছিলেন। সে সমস্ত প্রশ্নের এবার স্পষ্ট জবাব দিল কমিশন। আধার অনেক জায়গায় রিঅ্যাক্টিভেট হয়নি বলেও পশ্চিমবঙ্গে অভিযোগ উঠেছে। সে ক্ষেত্রে কমিশনের বক্তব্য, আধার কার্ডের সঙ্গে ভোট দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। ভোটার কার্ড বা বাকি যে কোনও পরিচয় পত্র নিয়ে নাগরিকরা ভোট দিতে পারবেন।অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে নির্বাচনী ব্যয় নিয়ে ডিসট্রিক্ট ইন্টালিজেন্স কমিটি তৈরি করা হবে। এই কমিটিতে থাকবেন রাজ্য ও কেন্দ্রের এজেন্সি যেমন পুলিশ, IT, এক্সাইজ, GST, ED। গোটা দেশজুড়েই এই ধরণের কমিটি গঠন করা হবে। এদিকে, তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি জমা দিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, ‘কেন নির্বাচনের আগে গড়া এই কমিটিতে ইডিকে রাখা হয়েছে?’ তৃণমূলের দাবি, ২০২৩ সাল থেকে মোট ৫ হাজার ৯০৬টি আর্থিক তছরুপের মামলা তদন্ত করছে ED। অথচ এর মধ্যে মাত্র ১ হাজার ২৪২টি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হয়েছ ২৫টি। যা শতকরা হার ০.৪২ শতাংশ। ED-র গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কেন কমিশনের কমিটিতে রাখা হল তা উল্লেখ করা হয়েছে স্মারকলিপিতে।