• Cancer Treatment: মাত্র ১০০ টাকায় ক্যানসারের ওষুধ, যুগান্তকারী আবিষ্কার মুম্ব‌ই টাটা হাসপাতালের
    এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • মারণ রোগ ক্যানসারের নাম শুনলেই আতঙ্ক জাগে মনে। এখনও পর্যন্ত এই রোগের নিরাময়ের কিনারা সেভাবে হয়নি। আধুনিক চিকিৎসায় ক্যানসারকে কিছুটা বাগে আনা সম্ভব হলেও সাইড এফেক্টের মতো জটিলতা রয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠার পরও বেঁচে থাকাটাই কঠিন। মারণ রোগকে জব্দ করতে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাচ্ছেন দিনরাত। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে গবেষণা। একবার সুস্থ হলেও দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত কোনও ওষুধের জোরে পুরোপুরি সেরে ওঠা যায় না ক্যানসার থেকে।সেই ক্যানসার চিকিৎসায় বিরাট সুখবর আনল ভারতের মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট। এনটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বড় দাবি করেছেন টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসক ড.রাজেন্দ্র বাদভে। তাঁর দাবি, ১০ বছর ধরে গবেষণা করে তাঁরা সফল হয়েছেন। দ্বিতীয়বার ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে বাঁচানোর জন্য এক যুগান্তকারী ওষুধ তৈরি করে ফেলেছেন তাঁরা বলে দাবি। সেই ট্যাবলেটের দামও খুব কম।ড.রাজেন্দ্র বাদভের দাবি, সংস্থার গবেষকরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন ১০ বছর ধরে। তাঁরা এমন ট্য়াবলেট তৈরি করেছেন যা রোগীদের মধ্যে দ্বিতীয়বার ক্যানসারের ঘটনা প্রতিরোধ করবে। এছাড়াও এই ওষুধ বিকিরণ ও কেমোথেরাপির মতো চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমিয়ে দেবে ৫০ শতাংশ।এনটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই সিনিয়র ক্যানসার সার্জন রাজেন্দ্র বলেন, 'গবেষণার জন্য ক্যানসারের কোষ প্রবেশ করানো হয়েছিল ইঁদুরের শরীরে। যার ফলে ইঁদুরগুলির শরীরে টিউমার তৈরি হয়। রেডিয়েশন থেরাপি, কেমোথেরাপি এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় ইঁদুরগুলির। এরপর দেখা যায় ক্যানসার কোষগুলির মৃত্যু ঘটলেও ক্রোমাটিন কণা ছোট টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এই কণাগুলি রক্তের মাধ্য়মে পৌঁছে যেতে পারে শরীরে অন্য়ান্য অংশে। সুস্থ কোষে প্রবেশ করে পুনরা ক্যানসারের কোষে পরিণত করে।টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার তাদের গবেষণায় জানাচ্ছে, মৃত ক্যানসার কোষগুলি ছেড়ে দেয় মুক্ত ক্রোমাটিন কণা। এই কণাগুলি সুস্থ কোষগুলিকে আক্রমণ করে ক্যানসার কোষে পরিণত করে। এই কোষগুলির মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ক্রোমোজোমের সঙ্গে। তৈরি হতে পারে নতুন করে টিউমার।এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে ইঁদুরগুলির উপর চিকিৎসকরা প্রয়োগ করেন। এই ট্য়াবলেট মুখে পড়লে তা পাকস্থলিতে অক্সিজেন র‍্যাডিক্যাল তৈরি করে। তারপর তা দ্রুত শোষিত হয়ে প্রবেশ করে রক্ত সঞ্চালনের পথে, যা শরীরের এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় ক্যানসার কোষের চলাচলে বাধা তৈরি করে। গবেষকরা তাঁদের গবেষণায় রেসভেরাট্রল এবং কপার প্রো-অক্সিডেন্ট ট্যাবলেটকে 'জাদু' বলেছেন।সংস্থার দাবি, এই ট্যাবলেট কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের মতো চিকিৎসা পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ৫০ শতাংশ কম হবে রোগীর শরীরে। এমন কী দ্বিতীয়বার ক্যানসার প্রতিরোধ করতে এই ট্যাবলেট ৩০ শতাংশ কার্যকর। এই ট্যাবলেটটি কার্যকর হতে পারে অগ্ন্যাশয়, ফুসফুস এবং মুখের ক্যানসারে।আপাতত এফএসএসআই-এর (FSSAI-Food Safety and Standards Authority of India) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এই ওষুধ। অনুমোদন পেলে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে চলতি বছরের জুন-জুলাই মাস থেকেই। ড.রাজেন্দ্র বাদভে আরও জানিয়েছেন, 'ক্যানসার চিকিৎসায় যখন কয়েক লাখ টাকা বা কোটি টাকা খরচ তখন সেখানে এই ওষুধের দাম হবে ১০০ টাকা মাত্র। এই ওষুধও মিলবে সর্বত্র। এই ওষুধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে পারে কি না তা জানতে ইতিমধ্যেই মানুষের শরীরের তা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে নতুন করে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার থেকে এই ওষুধ কতটা কার্যকরী হবে তা প্রমাণ করে আরও বছর পাঁচ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
  • Link to this news (এই সময়)