লোকসভা ভোটের আগেই হিমাচল হাতছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের? রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হারের পর আসরে নেমে পড়েছে BJP। দেদার ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ উঠেছে হিমাচল প্রদেশে। আর তারপরই কার্যত নিশ্চিত আসনে পরাজয় হয় কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভির। এরপরই আস্থা ভোট চেয়ে BJP বিধায়করা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন। টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই পদত্যাগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হল, খবরটি গুজব। মুখ্যমন্ত্রী সুখু বলেন, 'পদত্যাগ করিনি। হাল ছাড়ব না। আমি যোদ্ধা। আমার সম্পূর্ণ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া পর্যন্ত পদেই থাকব।'হিমাচল এবার 'হাত'ছাড়া?হিমাচল প্রদেশের বিধানসভার ৬৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের হাতে ছিল ৪০ জন বিধায়ক। এ ছাড়াও তিন নির্দল বিধায়কও কংগ্রেসের পক্ষে ছিলেন। BJP-র বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৬৮। ফলে রাজ্যসভার একটি মাত্র আসনে জয় নিশ্চিত ছিল অভিষের মনু সিংভির। ফল বেরোতে দেখা যায় কংগ্রেসের প্রার্থীর সমপরিমাণ ভোট পেয়েছেন BJP-র হর্ষ মহাজন। দু'জনেই ৩৪টি করে ভোট পেয়েছেন। জানা যায়, কংগ্রেসের ছয় এবং তিনজন নির্দল বিধায়ক ক্রস ভোটিংয়ে অভিযুক্ত। এরপর প্রার্থী নির্বাচনে হিমাচল বিধানসভায় টস করা হয়। ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি অভিষেক মনু সিংভির। জয়ী ঘোষণা করা হয় হর্ষ মহাজনকে।ফল সামনে আসতেই হিমাচল দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে BJP। দলের রাজ্য সভাপতি এবং হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের দাবি, ভোটের ফলেই প্রমাণিত সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে৷ ফলে অবিলম্বে আস্থা ভোট করে নিজেদের শক্তির পরীক্ষা দিক কংগ্রেসের সরকার। সরকার বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে হাত শিবিরও।বিক্রমাদিত্যের পদত্যাগএর মাঝেই রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের অংশ হিসেবে থাকা সঠিক নয়। মন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেন্দ্রের মানুষের সঙ্গে খুব শীঘ্রই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলব। দেখা যাক ভবিষ্যৎ কোনদিকে নিয়ে যায়।' দলে বিধায়কদের সঠিক মর্যাদা দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে বিক্রমাদিত্যের। তবে এরপর তাঁর বিধায়ক পদ রাখা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত দলের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন পদত্যাগী বিধায়ক। হিমাচলের প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী তথা লোকসভা সাংসদ প্রতিভা সিংয়ের পুত্র বিক্রমাদিত্য। গত মাসে তিনি দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় যোগ দিয়েছিলেন।অন্যদিকে, ১৫ জন BJP বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছেন হিমাচল প্রদেশের স্পিকার কুলদীপ সিং পাথানিয়া। তালিকায় রয়েছেন বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুরও।