পুরাতন মালদার কিশোরী খুনের ঘটনার পাঁচ দিন পরে ঘনিষ্ঠ এক যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সে নিহত কিশোরীর প্রতিবেশী তো বটেই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও। যুবক গ্রেপ্তার হলেও সে গোটা ঘটনার সঙ্গে কী ভাবে জড়িত, এতদিন নিজেকে কী ভাবে আড়াল করে রেখেছিল, কী তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পরিষ্কার নয়।পুলিশও যুবক গ্রেপ্তারের খবর দেওয়া ছাড়া আর কিছুই বলেনি। ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির জেলা সভাপতি মোহন হাঁসদা বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত একজন গ্রেপ্তার হলেও পুলিশ অনেক কিছুই প্রকাশ্যে আনছে না। ঘটনার মেরিট আরও বড়। আদিবাসী সমাজের বাইরের লোকজনও এতে জড়িত থাকবার সম্ভাবনা।’তবে একটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই যুবক স্বীকার করেছে যে ঘটনার দিন নেশার ঘোরে সে খুন করেছে। ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় গ্রামে বাদনা পরবের আসর থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়। পর দিন সন্ধ্যায় গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটা ইটভাটায় দেহ মেলে।নিহত কিশোরীর মা এদিন বলেন, ‘ওই যুবক কিছুদিন থেকে বন্ধ ইটভাটায় ইট নিয়ে যাওয়ার কাজ করছিল। একেবারে নিজেদের লোক। নিজের লোকের সঙ্গে তো বাড়ির মেয়েরা মেলামেশা করবেই। কী ভাবে ওকে সন্দেহ করব।’