পঞ্চায়েত স্তরে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ রাজ্যের
এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যে। বঙ্গের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে প্রচুর কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল নবান্ন। আর সেই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হল। নবান্নের তরফে প্রকাশিত সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছ, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েতের এই তিনটি স্তরে মোট ৬ হাজার ৬৫২ জন কর্মী নিয়োগ করা হবে। এছাড়া পাশাপাশি শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অধীনেও কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।গত মাসের ১১ তারিখ ১১ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরে সাড়ে ৬ হাজার কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই বিষয়েই এদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল। সূত্রের খবর, রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে প্রচুর পদ খালি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পদগুলি খালি পড়ে থাকায় বহু ক্ষেত্রেই সরকারি কাজ সম্পাদনে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এবার রাজ্যের তরফে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় প্রক্রিয়া দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন বহু কর্মসংস্থান হবে, অন্যদিকে তেমনই ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সরকারি কাজগুলি সম্পাদনেও অনেকটাই সুবিধা হবে।ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিসূত্রের খবর, নতুন কর্মী নিয়োগের বিষয়ে গত ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। আর সেই বিষয়েই এবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। অন্যদিকে সেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে দমকল বিভাগের ফায়ার অপারেটর পদেও ১ হাজার কর্মী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়িই সেটির জন্যও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।প্রসঙ্গত, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত আসতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। সম্প্রতি ১০০ দিনের কাজের টাকা রাজ্য দেবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকী পুরুলিয়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, অনেকের অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই টাকা ঢুকে গিয়েছে। বাকিদের টাকাও ২ -৩ দিনের মধ্যেই ঢুকে যাবে। এছাড়া ১ এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্র আবাস যোজনার টাকা না দিলে সেই বাড়িও রাজ্য তৈরি করে দেবে বলেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার পঞ্চায়েত স্তরে নিয়োগের জন্য প্রকাশ করা হল বিক্ষপ্তি। এর ফলে ভোট বাক্সে তৃণমূল সুবিধা পেতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।