বেসরকারি হাসপাতালেও এবার CGHS রেটে চিকিৎসা, কেন্দ্রকে সুপ্রিম নির্দেশ
এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে ছানি অপারেশনের জন্য ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে বেসরকারি হাসপাতালে সেই খরচ দাঁড়াতে পারে ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই বৈষম্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, কেন ১৪ বছর পুরনো আইন বলবৎ করতে অসমর্থ হয়েছে কেন্দ্র, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।১৪ বছর পুরনো আইন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালের খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখে বেসরাকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার একটি নির্দিষ্ট তালিকা প্রস্তুত করা বাঞ্ছনীয়।বেসরকারি হাসপাতালেও CGHS-এর নিয়ম?কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, এই সামঞ্জস্য নিয়ে একাধিকবার রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। চিঠিও দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে। তবে রাজ্যগুলির তরফ থেকে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কেন্দ্রীয় সরকার এই দায়িত্ব অগ্রাহ্য করতে পারে না। এক মাসের মধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। যদি কেন্দ্র সরকার এই সমস্যার সমাধান করতে বিফল হয় তবে CGHS নির্ধারিত চিকিৎসা খরচ লাগু করা হবে।চিকিৎসা পরিষেবা পেতে কিংবা হাসপাতালে ভর্তি প্রিয়জনকে সুস্থ করে বাড়ি ফেরাতে কার্যত জমি-বাড়ি বেচার উপক্রম হয় মধ্যবিত্ত মানুষের। চিকিৎসার নামে 'ডাকাতি' করার অভিযোগ ওঠে বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এই মর্মে এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া দাওয়াই দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে সরকার চিকিৎসা সংক্রান্ত হাসপাতালের খরচের নির্ধারিত মাপকাঠি ঠিক করতে না পারলে প্রতিটি রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতাল এবং চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের নির্ধারিত হারে পরিষেবা শুরু করা হবে বলে সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রতিটি রাজ্যে বেসরকারি চিকিৎসা পরিষেবার খরচ ইংরেজি এবং আঞ্চলিক ভাষায় লিখে জনসমক্ষে টাঙিয়ে রাখার কথাও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।সাধারণ মানুষের জন্য হাসপাতালের খরচ নাগালের মধ্যে আনার জন্য এবং সেই খরচের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার দাবি নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী দানীশ জুবের খান। সেই মামলার শুনানিতেই এই মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের বি আৎ গভাই এবং সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ।