লোকসভার আগে তৃণমূলের বড় ধাক্কা! BJP-তে যোগ বিধায়ক সৌমেন রায়ের
এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
একুশে তিনি লড়েছিলেন পদ্ম প্রতীকে, জয়ীও হয়েছিলেন। এরপর একুশেই BJP ছেড়েছিলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। যোগ দিয়েছিলেন রাজ্য শাসক দলে। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার ভোলবদল। তৃণমূল ছেড়ে ফের একবার BJP-তে যোগদান করলেন সৌমেন রায়। প্রথমে তৃণমূলের সদস্য ছিলেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি ফের একবার কামব্যাক করেন তৃণমূলে। কিন্তু, কেন আবার তাঁর গেরুয়া শিবিরে প্রত্যাবর্তন? উঠছে প্রশ্ন।একুশে তৃণমূলে যোগদানের পর সৌমেন রায় বলেছিলেন, 'আমার মন পড়েছিল তৃণমূলে। দিদি উত্তরবঙ্গের জন্য লড়াই করছেন। তাঁর এই উন্নয়ন যজ্ঞে অংশ নিতেই আমি তৃণমূলে যোগদান করেছি। যে সময়টা মাঝে ছিলাম না তা আমার ভুল। দিদির উন্নয়ন যজ্ঞে মিলিত হতে পারলে কৃতার্থ হব।' কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর ফের দলবদল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।উত্তরবঙ্গের লোকসভা আসনগুলির দিকে বিশেষ নজর গেরুয়া শিবিরের। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও অপেক্ষাকৃত বেশি ভালো ফলাফল হয়েছিল উত্তরবঙ্গে। সেই জায়গা থেকে সৌমেন রায়ের গেরুয়া শিবিরের যোগদান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যায়, সৌমেন রায় একটা সময় মুকুল রায় অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর মুকুল রায় যখন BJP ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তখন বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায়। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের কণ্ঠেই শোনা গিয়েছিল উলটো সুর। সেই সময় সৌমেন রায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।তিনি যাবতীয় জল্পনাকে স্বীকৃতি দিয়ে যোগদান করেছিলেন তৃণমূলে। বুধবার ফের একবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার হাত ধরে তিনি প্রত্যাবর্তন করলেন পদ্ম শিবিরে। উল্লেখ্য, BJP-র হয়ে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেও বিধায়কপদ ছাড়েননি তিনি। বুধবার সল্টলেকের BJP দফতরে দেখা যায় তাঁকে। এরপরেই জল্পনা শুরু হয়। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, সৌমেন রায় BJP-তে যোগ দিতে চলেছেন। সেই সময় বিরোধী দলনেতার পাশেই বসেছিলেন সৌমেন।লোকসভা নির্বাচনের ভোটের অংককে সামনে রেখেই কি যোগদান করছেন BJP-তে? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই অংক কষছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। তাঁদের কথায়, উত্তরবঙ্গে সংগঠনের ক্ষেত্রে কোনওরকম ফাঁকফোকর রাখতে নারাজ গেরুয়া শিবির। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই দলবদল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই প্রসঙ্গে