• অশান্তির মাঝেই স্বস্তির বার্তা, সন্দেশখালির যোগাযোগ উন্নয়নে বড় প্ল্যান রাজ্যের
    এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • বেশকিছুদিন ধরেই সংবাদ শিরোনামে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। এবার সেই জায়গার যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে বড় পরিকল্পনা রাজ্য সরকারে। জেলার একেবারে শেষপ্রান্ত সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লক। এলাকার অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভিত্তিই হল মৎস্যচাষ। অভিযোগ, একের পর এক ভেড়িতে চিংড়ি, ভেটকি উৎপাদিত হলেও, এতদিন তা কার্যত বাইরে বিক্রি করা অসম্ভব ছিল মৎস্যচাষীদের পক্ষে। শেখ শাহজাহানের অঙ্গুলি হেলনেই চলতে হত তাঁদের। তবে গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমে লাগাতার বিক্ষোভ দেখানোয় এখন আর শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের কোনও দেখা নেই এলাকায়। এরই মাঝে মৎস্যচাষীদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী প্রশাসনও।সন্দেশখালিতে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যমই হল জলপথ। অভিযোগ, নদীর জেটিঘাট সরকারের হলেও সেটিও কার্যত চলত শাহজাহানের ইশারাতে। এবার সেই জলপথে মানুষ যাতে আরও ভালোভাবে ও সাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারে তার জন্য উদ্যোগী হল রাজ্য পরিবহণ দফতর। সন্দেশখালিতে উন্নতমানের জেটিঘাট তৈরির পরিকল্পনা পরিবহণ দফতরের। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে ইতিমধ্যেই পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা এলাকার কয়েকটি ফেরিঘাট ঘুরে দেখেন। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদনে এমনটাই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন জেটি তৈরির জন্য মাপজোক করেছেন তাঁরা।ভৌগলিকভাবে সন্দেশখালির দু'টি ব্লকের চারপাশই কার্যত জলবেষ্টিত। গোটা এলাকাকে ঘিরে রয়েছে রায়মঙ্গল, কালিন্দী, কলাগাছিয়া সহ বেশকিছু নদী। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য সেখানে জলপরিবহণই একমাত্র ভরসা। বর্ষায় বিস্তর ঝুঁকির নিয়ে বাইকও পারাপার করান বাসিন্দারা। সবচেয়ে বড় কথা চার, ছয় বা আরও বেশি চাকার গাড়ির সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই সন্দেশখালির দ্বীপ অংশের। অর্থাৎ বেশি মাত্রায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের সমস্যা রয়েই গিয়েছে এই এলাকায়। এবার তাই সেই সমস্যা মেটাতেই পরিবহণ দফতরের এই নতুন উদ্যোগ বলে জানা যাচ্ছে।প্রশাসন সূত্রে খবর, ধামাখালি ও সন্দেশখালির নদীপথে যোগাযোগ আরও সহজ করতে উন্নতমানের জেটি ও ভেসেল তৈরি হবে। এই ভেসেলে করে যাত্রী এবং পণ্যবাহী বড় গাড়িও নদী পারাপার করতে পারবে। অর্থাৎ হিঙ্গলগঞ্জে যেমন আধুনিক জেটি এবং ভেসেল রয়েছে, ঠিক সেই আদলেই তৈরি হবে সন্দেশখালিতেও। ধামাখালি থেকে ভায়া তুষখালি হয়ে ভেসেল পৌঁছে যাবে সন্দেশখালিতে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের আধিকারিকরা মনে করছেন, উন্নতমানের জেটি তৈরি এবং ভেসেল চলাচল শুরু হলে সন্দেশখালির যাতায়াত আরও সহজ হয়ে উঠবে, উপকৃত হবেন বহু মানুষ।
  • Link to this news (এই সময়)