১৫ বছর ধরে সমপ্রেমী সম্পর্কে শান্তা-ইফফত! হুগলির শিশুহত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়
এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কোন্নগরের শিশুকে হত্যা ঘিরে একাধিক রহস্য। হুগলির কোন্নগরে আদর্শনগরে আট বছরের স্নেহাংশু শর্মাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে ব্যবহার করা হয় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। সেখান থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর এই ফরেন্সিক টিম অপরাধীদের খুঁজে বার করতে অনেকটাই সাহায্য করে। অভিযোগ ওঠে শিশুর মা শান্তা শর্মা ও তাঁর বান্ধবী ইফফত পারভিনের বিরুদ্ধে। তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরেই কার্যত মোড় ঘুরে যায় এই তদন্তের।সূত্রের খবর, সংসার করলেও স্বামী পঙ্কজকে মোটেও পছন্দ করতেন না শান্তা। স্বামীর মাথার টাকই ছিল অপছন্দের মূল কারণ। এরপরেই দাম্পত্যে ক্রমশ উষ্ণতা হারাতে থাকে। দাম্পত্যে শীতলতার ফলে ইফ্ফতের সঙ্গে সমপ্রেমী সম্পর্কের গভীরতা ক্রমশ বাড়তে থাকে বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। শুধু তাই নয়, গোয়েন্দাদের প্রাথমিক তদন্তের পর সন্দেহ, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সমপ্রেমী সম্পর্কে ছিলেন শান্তা এবং ইফফত।বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর করত তারা। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে দেখতে গিয়েছিল তাজমহলও। সেই সময় ছেলে বায়না করলেও তাকে নিয়ে যায়নি শান্তা। দু'জনে মিলে যায় বিহারেও। সেই সময় অবশ্য ছেলেকে সঙ্গে নেয় শান্তা। তবে আলাদা একটি ঘরে থাকতে দেয় ছেলেকে। এক ঘরে বান্ধবীর সঙ্গে ছিল শান্তা।শান্তা এবং ইফফতের মধ্যে স্নেহাংশুকে হত্যা করে কে? কী উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে?পুলিশের অনুমান, স্নেহাংশু ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিল। ফলে তাদের দু'জনের মধ্যে সম্পর্কে কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল ছোট্ট এই স্নেহাংশু। দু’জনের সম্পর্ক প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছিল বাচ্চাটির সামনে। ফলে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে খুদেকে হত্যা করার ছক কষা হয় বলে প্রাথমিক অনুমান।প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, শান্তা এবং ইফফত যৌথভাবে পরিকল্পনা করে খুন করে। দু'জনেই আলাদা থাকার পরিকল্পনা করে। সেই কারণেই স্নেহাংশুকে খুনের ছক বলে অনুমান।উল্লেখ্য, ১৮ বছরে বিয়ে হয় ইফফতের। কিন্তু, সেই সম্পর্ক খুব বেশিদিন টেকেনি। কিছুদিন পর থেকেই শান্তা ও ইফফতের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এদিকে শান্তা বা তার বান্ধবীর মধ্যে কোনও অনুতাপ দেখতে পারছেন না তজন্তকারীরা। কী ভাবে খুদেকে হত্যার ছক কষে তারা? এখন সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছেন তদন্তকারীরা।