Rail Accident: জামতাড়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা! ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জনের মৃত্যু, জখম একাধিক
এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্য়ু হয়েছে দুই জনের। জামতাড়া-কারমাতান্ডের কালঝরিয়ার কাছে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কয়েকজন আহত হওয়ারও খবর পাওয়া গিয়েছে। এলাকায় আলো না থাকায় উদ্ধার অভিযান সামান্য ব্যাহত হচ্ছে বলে খবর। তবে এই দুর্ঘটনা নিয়ে প্রথমে খানিক বিভ্রান্তি ছড়ায়। ডাউন লাইনে বেঙ্গালুরু-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস যাচ্ছিল। চালকের মনে হয়েছিলে লাইনের পাশে ফেলে দেওয়া ব্যালাস্ট থেকে ধুলো উড়তে থাকে। স্থানীয়রা অনেকে দাবি করেন, ধুলো দেখে চালক মনে করেন ট্রেনে হয়তো আগুন লেগেছে এবং ধোঁয়া বের হচ্ছে। ট্রেন থামার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে নেমে পড়েন। সেই সময় উলটো দিক থেকে আসা আসানসোলগামী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে কয়েক জনের। তবে ঘটনার কিছুক্ষণ পরে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের তরফে সাংবাদিকদের বিবৃতি দেওয়া হয়। ট্রেনে কাটা পড়ে যাঁদের মৃত্য়ু হয়েছে তাঁরা ট্রেন যাত্রী ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, ট্রেন থেকে কমপক্ষে ২ কিলোমিটার দূরে ট্র্যাকের উপর হেঁটে যাওয়া দুই ব্যক্তির ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা কেউই ট্রেনের যাত্রী নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয় প্রথমে। প্রথমে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, ডাউন অঙ্গ এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছে ভেবে মাঝপথে ট্রেন থামিয়ে দিয়েছিলেন চালক। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন যাত্রীও আতঙ্কিত হয়ে নেমে পড়েন ট্রেন থেকে। সেই সময়েই পাশের লাইন দিয়ে আসা অপর একটি ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। তবে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, আগুন লাগার কোনও ঘটনা ঘটেনি অঙ্গ ট্রেনে। দুর্ঘটনার বিষয় কৌশিক মিত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রেনে কাটা পড়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ট্রেনের যাত্রী ছিলেন না। দু'জনেই হাঁটছিলেন লাইন ধরে। অঙ্গ এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছিল বলে গুজব ছাড়ায়। জামতাড়ার কাছে সেটি দাঁড়িয়ে যায়। উলটো দিক থেকে আসা ট্রেনে কাটা পড়েন লাইন ধরে হাঁটতে থাকা ওই দুই ব্যক্তি। তবে কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটল তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।অন্যদিকে জামতাড়ার এসডিএম অনন্ত কুমার জানিয়েছেন, ট্রেন থেকে যাত্রীদের নামার ঘটনা ঘটে। ট্রেনে আগুন লাগার খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা হাঁটছিলেন ভুল দিকের রেললাইন ধরে। সেই সময় ঘটে দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৯২ জন যাত্রীর। আহত হন হাজারেরও বেশি। ২ জুন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সিগন্যাল আপ মেইন লাইনের দিকে থাকলেও পয়েন্ট লুপ লাইনের দিকে ঘোরানো ছিল। ফলে ওই লুপ লাইনে ঢুকেই দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি। এরপর ডাউন লাইনে আসা যশবন্তপুর এক্সপ্রেস এসে ধাক্কা মারে করমণ্ডব এক্সপ্রেসকে। গত বছরের অক্টোবর মাসে অন্ধ্রপ্রদেশের দুই ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জনের মৃত্য়ু হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগরম জেলার কণ্টকপল্লিতে বিশাখাপত্তনম থেকে পলাসাগামী একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে পিছন থেকে ধাক্কা মারে বিশাখাপত্তনম-রায়গাড়া প্যাসেঞ্জার। রেল সূত্রে জানা যায়, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল পলাসাগামী ট্রেনটি। দুর্ঘটনার পর রেল জানায়, সংঘর্ষের ফলে লাইনচ্যুত হয় বিশাখাপত্তনম-পলাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের তিনটি এবং বিশাখাপত্তনম-রায়গাড়া প্যাসেঞ্জারের দু'টি কামরা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছিল, দুর্ঘটনা ঘটেছে রেলকর্মীদের ভুলেই।