মণিপুরের ইম্ফলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বাসভবনে দুষ্কৃতী হানার হামলার ঘটনায় অভিনব প্রতিবাদ জানালেন নিরাপত্তাকর্মীদের একাংশ। হামলার ঘটনায় তাঁদের সংযত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল উপর মহল। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র মাটিতে রেখে প্রতীকী প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা। অস্ত্রত্যাগের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছে ভাইরাল।কয়েক সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েজন পুলিশের কমান্ডো তাঁদের অস্ত্র মাটিতে রেখে দিচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বাড়িতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য তাঁদের স্বাধীনতা না দেওয়ার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত বলে ভিডিয়োতে বলতে শোনা গেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। মণিপুরে নতুন করে শুরু হয়েছে হিংসা। প্রায় ২০০ জনের একটি হামলাকারী দল ইম্ফলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বাসভবনে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর চালিয়েছিল। এরই পাশাপাশি হামলাকারীরা এএফসি এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকে অপহরণ করে।পরে তাঁদের কোয়াকিথেল কনজেং লেইকাই এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর পরেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন নিরাপত্তাকর্মীদের একাংশ। কিন্তু তাঁদের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছিল। এই নির্দেশের প্রতিবাদে অস্ত্রত্যাগ বলে জানা গেছে।এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বাড়িতে হামলা এবং অপহরণেক ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে মণিপুর পুলিশ। অভিযুক্তদের খুঁজে বার করার জন্য শুরু হয়েছে তল্লাশি। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো না হলেও, মেইতি সংগঠনের হাত রয়েছে বলে অনুমান।অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অপহরণের আগের দিন পুলিশ মেইতি সংগঠনের কয়েকজন সদস্যকে অস্ত্র রাখা এবং যানবাহন চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। তারই প্রতিশোধ নিতেই পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে হামলা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। জানা গেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে এর আগে খুন, নিরাপত্তাবাহিনীর উপর হামলা, চাঁদাবাজি, অগ্নিসংযোগের মতো অভিযোগ ছিল।প্রসঙ্গত, গত বছর মে থেকে জাতিগত হিংসায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে মণিপুর। এখনও পর্যন্ত হিংসায় ২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। হিংসার হাত থেকে রেহাই মেলেনি মহিলাদেরও। বেশ কয়েকজন মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানোর একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছিল ভাইরাল। আর তা দেখে শিউরে উঠেছিল দেশ।