Gaza Israel War: গাজ়ার টানেলে গণহত্যার শরিক ইউএস আর্মিও!
এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আগামী সোমবারের মধ্যে গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইতিবাচক ফয়সালা হবে আভাস দিয়ে রেখেছেন খোদ ইউএস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু অ্যারন-কাঁটা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তাঁর প্রশাসনকে। গাজ়ায় গণহত্যার প্রতিবাদে গত রবিবার ওয়াশিংটনে ইজ়রায়েলি দূতাবাসের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন মার্কিন বায়ুসেনা কর্মী অ্যারন বুশনেল।‘ফ্রি প্যালেস্তাইন’ স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি লাইভ ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘গাজ়ার ওই গণহত্যায় কিছুতেই আর জড়িত থাকব না।’ গাজ়ার যুদ্ধে ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে গোড়া থেকেই বিতর্কের মুখে আমেরিকা। এমনকী, আমেরিকার কারণেই গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বারবার ভেস্তে গিয়েছে বলেও দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, আমেরিকার এই কূটনৈতিক অবস্থানকে কাঠগড়ায় তুলেই আত্মাহুতি দেন বছর পঁচিশের অ্যারন।এ দিন যদিও বিস্ফোরক খবর দিল মার্কিন মিডিয়া ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’। খবরে প্রকাশিত, অ্যারন নাকি তাঁর বন্ধুকে ফোন করে গাজ়া অপারেশনের সিক্রেট তথ্য দিয়েছিলেন। তথ্য দিয়েছিলেন, গাজ়ার কুখ্যাত টানেল নিয়ে। সেই টানেল, যেখানে নাকি ঘাপটি মেরে থেকে আমেরিকান সেনাও নাকি ইজ়রায়েলের গণহত্যার শরিক হয়েছে। বুশনেল যে ইনোভেশন সার্ভিসেস টেকনিশিয়ান হিসেবে ইউএস এয়ারফোর্সে কর্মরত ছিলেন, তা নিশ্চিত করা গিয়েছে।গাজ়া ক্রাইসিসে আমেরিকা একেবারে গোড়া থেকে ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়ালেও ইউএস আর্মির কিন্তু কোনও ভাবেই কমব্যাট করার কথা নয়। টানেলে আটকে থাকা হামাসের হাত থেকে পণবন্দিদের উদ্ধার করার কথা বলে কি তা হলে সত্যিই ইউএস আর্মি জেনোসাইড শুরু করেছে গাজ়ায়— স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নে উত্তাল ভোটমুখী আমেরিকা। সে দেশের প্রশাসন যদিও এই অভিযোগ অস্বীকারই করছে।তবু ইজ়রায়েলকে সমর্থন করা নিয়ে বাইডেনকে বিঁধতে ছাড়েনি হামাস। একইসঙ্গে আত্মাহুতি দেওয়া মার্কিন সেনা অ্যারন ‘অমর’ হয়ে থাকবেন বলেও মন্তব্য করেছে তারা।বিতর্ক বেধেছে অন্য একটি বিষয়েও। অ্যারনের শরীর যখন দাউদাউ করে জ্বলছে, তখনও তাঁর দিকে বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়েছিলেন একজন! খব সম্ভবত তিনি ইউএস পুলিশ কিংবা দূতাবাসের সিকিউরিটি এজেন্ট। কিন্তু একজন মরতে বসা মানুষকেও কেন ‘বিপজ্জনক’ বলে ধরে নিয়ে তাঁর দিকে বন্দুক তাক করা হবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজ়েনরা। আমেরিকা কিংবা ইজ়রায়েল কোনও বিবৃতি দেয়নি।