গুমা কাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সরানো হলো অশোকনগর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক বলাই ঘোষকে। তাঁকে বদলি করা হয়েছে আমডাঙা থানায়। বলাইয়ের পরিবর্তে অশোকনগর থানার ওসির দায়িত্বে আনা হয়েছে চিন্তামণি নস্করকে। চিন্তামণি ছিলেন গোবরডাঙা থানায়।অন্যদিকে, মধ্যমগ্রামের মহিলা সাব ইনস্পেক্টর পিঙ্কি ঘোষকে আনা হয়েছে গোবরডাঙা থানায়। গুমা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজন দাস খুনে নাম উঠে এসেছে পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর স্বামীর। যদিও এটি রুটিন বদলি বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। এই পরিস্থিতিতে আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলে অশোকনগর শহিদ সদনে গুমা-১ পঞ্চায়েত এলাকার দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী।তিনি বলেন, ‘মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে পুলিশ। আশা করছি খুব দ্রুত গ্রেপ্তার হবে মূল অভিযুক্ত। বিষয়টি পুলিশ সুপার এবং বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি দেখছেন।’ গত রবিবার রাতে ছায়াসঙ্গীর বাড়িতেই খুন হয়েছিলেন গুমা-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজন দাস। খুনে দলেরই কর্মী তথা জমির দালাল গৌতম দাসের নাম জড়ায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে। গৌতম ওই পঞ্চায়েতের প্রধান জেসমিন সাহজির ঘনিষ্ঠ।অশোকনগরে বৃহত্তর রাজনীতিতে জেসমিন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। নিহত বিজন দাস ছিলেন বিধায়কের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর। গত পঞ্চায়েতের ফলের পর জেসমিন না বিজন, কে প্রধান হবেন এই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। প্রধানের ঘনিষ্ঠ জমির দালাল গৌতমের জমি সংক্রান্ত কাজকর্ম নিয়েও বিরোধিতা করতেন উপপ্রধান বিজন।তাঁর বিরোধিতায় নিবেদিতাপল্লিতে গৌতমের জমি নিয়ে মামলাও হয় আদালতে। বিজন ছিলেন তার প্রধান সাক্ষী। সম্প্রতি গাইঘাটা থানা থেকে অশোকনগর থানার দায়িত্ব দেওয়া হয় ওসি বলাই ঘোষকে। ওসি হয়ে আসার পরেই উপপ্রধান খুনের ঘটনা ঘটল অশোকনগরের গুমায়। খুনের পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও মূল অভিযুক্ত গৌতম দাসের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ।এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। নিহতের মেয়ে কোয়েনা দাস ছ’জনের বিরুদ্ধে এফ আই আর করেছেন অশোকনগর থানায়। তাঁর এফআইআরে নাম রয়েছে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ প্রধান জেসমিন সাহজি এবং তাঁর স্বামী সাদিক সাহজির।