• Delhi AAP Party Office Case: ভরা এজলাসে বেনজরি ঘটনা! দিল্লি হাইকোর্টের 'জমি দখল' মামলায় সিংভির সঙ্গে 'ঠাট্টা' চন্দ্রচূড়ের
    এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৪
  • আদালতে তখন সওয়াল-জবাব চলছে। একেবারে গম্ভীর পরিবেশ। চোখা চোখা প্রশ্নে তখন বিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি বিদ্ধ করার পালা চলছে জোরকদমে। এরকমই ভরা এজলাসে একেবারে গুরুগম্ভীর আবহে বর্ষীয়ান আইনজীবীর সঙ্গে সামান্য মস্করাই করলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আদালতের কক্ষে যা একেবারে বিরল। মামলা চলাকালীন শীর্ষ আদালতে বর্ষীয়ান আইজীবীর সঙ্গে হালকা চালে প্রধান বিচারপতির ঠাট্টা কে কবে শেষবার করেছিলেন তা মনে করতে পারছেন বর্ষীয়ান আইনজীবীরাও। স্বভাবতই এমন ঘটনাকে বিরল বলেই আখ্যা দিচ্ছেন তাঁরা।উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে এমন ঘটনা খুব কমই ঘটে বা ঘটে না বলতে গেলেই ঘটেই না, যখন প্রধান বিচারপতি কারও সঙ্গে হালকা চালে বা সামান্য ঠাট্টার সুরেই কথা বলেন। তেমনটা অবশ্য ঘটল অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে। সিংভির সঙ্গে সামান্য মশকরার সুরেই কথা বলতে শোনা গেল সিজেআইকে। যা শুনে হেসে ফেললেন সিংভিও।

    লোকসভা নির্বাচনের আগে চাপ বেড়েছে আম আদমি পার্টির। দিল্লির হেড কোয়ার্টার খালি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আপের দলীয় কার্যালয়টি দিল্লি হাইকোর্টের জমিতেই গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। দিল্লির দীন দয়াল উপাধ্যায় মার্গে রয়েছে আপ-এর প্রধান কার্যালয়। ওই জমিটি দিল্লি হাইকোর্টের সম্প্রসারণের জন্য রাখা হয়েছিল বলে সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার জানায়। ওই জমিতেই দলীয় কার্যালয় গড়ে তুলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই আদালতের জমি 'জবরদখল' করার জন্য আপের সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত। আপের হয়ে মামলাটি লড়েন অভিষেক মনু সিংভি। তা নিয়েই সামান্য মস্করা করলেন সিজেআই। সিংভিকে হালকা চালেই বললেন, 'এই মামলায় কিন্তু আপনার কিন্তু রাজনৈতিক দলের পক্ষে সওয়াল করা উচিত হয়নি। আপনি কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের জমির বিরোধিতা করতে পারবেন না। আপনিও একজন আইনজীবী। তাই আপনার আমাদেরই সমর্থন করা উচিত।' তবে এমন্তব্য অবশ্য নেহাতই হালকা চালে করেন বিচারপতি।

    সোমবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছেন, আগামী ১৫ জুনের মধ্যে আপকে দলীয় কার্যালয় খালি করতে হবে। নতুন কার্যালয় গড়তে আপ-কে দিল্লির জমি ও উন্নয়ন দপ্তরের কাছে জমি খোঁজার আবেদন জানানোর পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আপ-এর সমালোচনা করে বলেন, নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন না কেউ। কী ভাবে একটা রাজনৈতিক দল এই কাজ করতে পারে? কে এই জবর দখল করার অধিকার দিয়েছে? হাইকোর্টের উচিত ওই জমি নিয়ে মানুষের জন্য কাজ শুরু করে দেওয়া। চন্দ্রচূড় আরও বলেন, 'মামলার পরবর্তী শুনানির আগেই দিল্লি সরকারের মুখ্য সচিব, পি ডব্লিউ ডি সেক্রেটারি এবং অর্থ সচিবের উচিত ই হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের সাথে বৈঠক করা। তাঁরা এই সমস্যার সমাধান করে নিন।' আদালত জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচন থাকায় এই সময় সীমা দেওয়া হয়েছে আম আদমি পার্টিকে। আপাতত ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের যাবতীয় কাজ এই কার্যালয় থেকে পরিচালনা করতে পারবে আপ।

    মামলা চলাকালীন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা আপের পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, 'নির্বাচনের আগে আমাদের রাস্তায় নামানো যাবে না। রাজনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই বিষয়টি সমাধান করা যেতে পারে। দলকে বদরপুরে প্লটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় দল হিসেবে আমরা কিছুই পাইনি। আমাদের জন্য বদরপুর প্লটের প্রস্তাব দেওয়া হল। অথচ অন্য দলগুলোর অফিস এর থেকে ভালো জায়গায় রয়েছে।' এর উত্তরে সিজেআইয়ের পালটা প্রশ্ন, 'কোর্টের জমিতে দলীয় কার্যালয় চলছে। আমরা কী ভাবে তা চলার অনুমতি দিতে পারি?'
  • Link to this news (এই সময়)