জগন্নাথদেবের মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা শীঘ্রই, দিঘায় মন্দির উদ্বোধনের কাউন্টডাউন শুরু
এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৪
দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় ঘোষণা। তিনি বলেন, 'মূর্তি তৈরি হয়ে চলে এসেছে।' পূর্ব মেদিনীপুরে সভা করতে এসে এমনই বার্তা দেন তিনি।দিঘার সার্বিক উন্নয়নের জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। শুধু তাই নয়, সেখানে পুরীর আদলে তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। একেবারে সমুদ্র সৈকতের লাগোয়া হচ্ছে এই নির্মাণ কাজ। তার জন্য খরচও হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। আর সে কথা তমলুকের সভা থেকে জানিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই নির্মীয়মান জগন্নাথ মন্দিরের মূর্তি তৈরি হয়ে এসে গিয়েছে বলে সরকারি কর্মসূচি থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'একদম পুরীর মন্দিরের মতো তৈরি হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। ঠাকুর তৈরি হয়ে চলে এসেছে। পুরীর মূর্তিটি নিমকাঠের তৈরি। আমাদের মূর্তি মার্বেল দিয়ে তৈরি। সামান্য তফাত তো থাকবেই।' এই মন্দির তৈরি হলে পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে দিঘার গুরুত্ব বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে পর্যটক সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ধাঁচেই দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছিলেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে।
এরপর শুরু হয়ে যায় কাজ। ২০২২ সালের মে মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে নির্মাণ শুরু হয় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। একটু একটু করে এগিয়ে যায় সেই কাজ। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সেই দিনেই অযোধ্যার রামমন্দির কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসেই মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ করতে চান।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতে নির্মীয়মান মন্দির চত্বরটি পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বিরাট এক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। হাজার হাজার বছর ধরে জগন্নাথদেবের এই মন্দির থাকবে।' ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দিঘার জগন্নাথ মন্দির সকলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা হয়েছিল। পড়ে সত্ত্বর কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ার কথা জানানো হয়।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী চার মাসের মধ্যে মন্দিরের কাজ সম্পন্ন হবে। ফলে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। যদিও দিনক্ষণ চূড়ান্ত করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, মনে করা হচ্ছে এমনটাই। এই মন্দিরটি বাংলার অন্যতম ডেস্টিনেশন হতে চলেছে।