লকারে কেষ্টর কালীমূর্তির গয়না, বীরভূমের সেই ব্যাঙ্কেই ED হানা
এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৪
প্রতি বছর কালীপুজোয় বঙ্গবাসীর নজর থাকত অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিমা সজ্জার দিকে। ভরি ভরি গয়নায় সাজানো হত মূর্তি। কিন্তু, এবার সেই গয়নার দিকে নজর তদন্তকারীদের?বুধবার ফের বোলপুরে হানা দেন ED আধিকারিকরা। এদিন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হাজির হন তদন্তকারীরা। বীরভূমের জেলা তৃণমূলের পার্টি অফিসে প্রতি বছর ধুমধাম করে কালীপুজোর আয়োজন করা হত। আর মূল উদ্যোক্তা হিসেবে থাকতেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি থাকাকালীন প্রতি বছর কালী মূর্তিকে নিজের হাতে পরিয়ে দিতেন গয়না।
সূত্রের খবর, তিনি যে ব্যাঙ্কের লকারে এই গয়না রাখতেন সেখানেই গিয়েছেন ED আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বেলা ১২টা নাগাদ বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আসেন গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল ব্যাঙ্ক চত্বর। এরপর কয়েকজন ED আধিকারিক ব্যাঙ্কের মধ্যে প্রবেশ করে। কী নিয়ে নির্দিষ্টভাবে আলোচনা করা হয়েছে? তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে অনেকেই গয়না যোগ দেখতে পাচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে, এই গয়না প্রসঙ্গে জানার জন্যই ED-র হানা। যদিও এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গোরু পাচার মামলায় ২০২২ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁকে গ্রেফতার করে CBI। সেই সময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এজেন্সি রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল তৃণমূল। শুধুমাত্র ভোট অঙ্কের কথা মাথায় রেখে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল রাজ্য়ের শাসক দলের তরফে। যদিও যাবতীয় দাবি খারিজ করে দেয় বিজেপি।
গ্রেফতারির পর দীর্ঘ সময় অনুব্রত মণ্ডলকে রাখা হয়েছিল আসানসোল সংশোধনাগারে। এরপর তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি এবং তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তাঁর ঠিকানা তিহাড়। উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডল কালী ভক্ত হিসেবেই পরিচিত। প্রতি বছর তিনি দলীয় পার্টি অফিসে ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন করতেন। তাঁর কালী মূর্তির সজ্জা নিয়েও বিস্তর চর্চা হত।
তিনি গত দুই বছর পুজোর সময় না থাকায় সেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন দলীয় কর্মীরা। তবে জাঁকজমক অনেকাংশে কমেছিল। এবার নতুন করে এই মামলায় ED-র সক্রিয় হওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও। তাঁকে ED গ্রেফতার করে। আপাতত তিনি তিহাড় সংশোধনাগারে রয়েছেন।