এপ্রিল থেকেই সরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের অ্যাকাউন্টে বর্ধিত বেতন, 'লক্ষ্মীলাভ' কাদের?
এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৪
এপ্রিল মাস থেকে রাজ্যের আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি হেল্পারদের মাসিক বেতন বৃদ্ধি হতে চলেছে। এই ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে শুধু আশা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বা অঙ্গনওয়াড়ি হেল্পার নয়, এপ্রিল মাস থেকে পোয়া বারো অনেকেরই। সিভিক, গ্রিন, ভিলেজ পুলিশের ভাতাও বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্য বাজেটে। যেহেতু ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের কথা মাথায় রেখে এই ঘোষণা করা হয়েছিল সেক্ষেত্রে এপ্রিল মাস থেকেই তারা এই বর্ধিত ভাতা পেতে চলেছে।কারা কারা এপ্রিল মাস থেকে বর্ধিত ভাতা বা বেতন পেতে চলেছেন?
আশা কর্মী: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন এপ্রিল মাস থেকে আশা কর্মীদের বেতন ৭৫০ টাকা বৃদ্ধি পেতে চলেছে।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী: এই সময়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বেতন ৭৫০ টাকা বৃদ্ধি হতে চলেছে।
অঙ্গনওয়াড়ি হেল্পার: অঙ্গনওয়াড়ি হেল্পারদের বেতন ৫০০ টাকা বৃদ্ধি পাবে এপ্রিল মাস থেকে।
ভিলেজ, গ্রিন এবং সিভিক পুলিশ: ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ থেকে গ্রিন, ভিলেজ এবং সিভিক পুলিশরা অতিরিক্ত ১০০০ টাকা করে পাবেন, এই ঘোষণা করা হয় বাজেটে। ভিলেজ পুলিশরা সাধারণত ৩৪৪ টাকা করে ভাতা পান। এবার থেকে তাঁদের মোট কর্মদিবসের হিসেব মোতাবেক আরও ১০০০ টাকা যুক্ত করা হবে। রাজ্য পুলিশে তাঁদের যুক্ত হওয়ার কোটাও ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এই খাতে রাজ্য বাজেটে ১৮০ কোটি টাকা করেছে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার: রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়েও এই বাজেটে উল্লেখযোগ্য ঘোষণা ছিল। এতদিন পর্যন্ত জেনারেল কাস্টের মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় থাকলে মাসে ৫০০ এবং SC-ST মহিলারা ১০০০ টাকা করে পেতেন। এবার সেই অঙ্কটা একধাক্কায় বাড়িয়ে করা হয়েছে জেনারেলদের জন্য ১০০০ এবং SC-ST-দের জন্য ১২০০ টাকা।
একুশে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের ঘোষণার পর থেকেই তা বিপুলভাবে জনপ্রিয় হয়। মহিলাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগের প্রশংসা হয়েছে বিভিন্ন মহলেও। রাজ্য়ের বাইরেও এই প্রকল্পের সুখ্যাতি ছড়িয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই বাজেটে DA নিয়েও উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগগুলিকে কার্যত স্বাগত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পদে কর্মরতরা।