Jim Corbett National Park : জিম করবেটে বন্ধ টাইগার সাফারি? জানুন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৪
জিম করবেট পার্কে বেআইনি নির্মাণ ও গাছকাটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়লেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন বনমন্ত্রী এবং প্রাক্তন প্রধান বন আধিকারিক। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের জন্য সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে নির্দেশ। এরই পাশাপাশি টাইগার সাফারি খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গঠন করেছে শীর্ষ আদালত।প্রকৃত ঘটনাটি কী?
ঘটনার সূত্রপাত সুপ্রিম কোর্টে পরিবেশ কর্মী এবং আইনজীবী গৌরব বনসালের একটি পিটিশনকে কেন্দ্র করে। দায়ের করা পটিশনে উত্তরাখণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে জিম করবেট পার্কে বেআইনি নির্মাণ ও গাছকাটার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। গাছকাটা এবং বেআইনি নির্মাণের নির্দেশ দেওয়ার জন্য নিশানা করা হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন বন মন্ত্রী হরক সিং রাওয়াত এবং প্রাক্তন বন বিভাগের প্রধান কিষাণ চাঁদ-কে।
পর্যবেক্ষণে কী জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট?
বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কার্যত ভর্ৎসনা করেছে উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন বনমন্ত্রী এবং প্রাক্তন বন বিভাগের প্রধানকে। আমলা ও রাজনীতিবিদরা মানুষের বিশ্বাসকে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে বেঞ্চ। এরই পাশাপাশি প্রাক্তন বনমন্ত্রী এবং প্রাক্তন বন বিভাগের প্রধানের বিরুদ্ধে আইনকে অবমাননা করার অভিযোগ করেছেন বিচারপতি গাভাই।
প্রাক্তন মন্ত্রী ও আমলার ‘ঔদ্ধত্য’ তাঁকে বিস্মিত করেছে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। বেঞ্চের মতে, বাণিজ্যিক উদ্দেশে পর্যটনের উন্নতির নামে গাছকাটা এবং বেআইনি নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হরক সিং রাওয়াত এবং কিষাণ চাঁদ।
জিম করবেট পার্ক কাণ্ডে তদন্তে সিবিআই
উত্তরাখণ্ডের জিম করবেট পার্কে গাছকাটা এবং বেআইনি নির্মাণ খতিয়ে দেখতে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের তদন্তের রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি বিআর গাভাই নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
বেঞ্চের অনুমান, এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে। তদন্তে পুরো ব্যাপারটি স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে টাইগার সাফারি অনুমতি দেওয়া যায় কীনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, জিম করবেট পার্কে গাছকাটা এবং বেআইনি নির্মাণ নিয়ে তদন্তে সিবিআইয়ের পাশাপাশি শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর বা ইডি। আর্থিক অনিয়মের দিকটি খতিয়ে দেখছে তারা। ইতিমধ্যে উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন বন মন্ত্রী এবং বন বিভাগের প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।