লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে আসন রফা নিয়ে বেসুরো ছিল এনডিএ-র জোট শরিক শিন্ডেসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি। আসন নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল দল দু’টি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মঙ্গলবার মারাঠা গড়ে উড়ে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। গভীর রাত পর্যন্ত জোটের সমস্ত দলের সঙ্গে বৈঠকের পর, আসন রফা চূড়ান্ত হয়েছে বলে খবর।মহারাষ্ট্রে আসন রফা চূড়ান্ত করল এনডিএ
সূত্রের খবর, গভীর রাত পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফরণবীশ এবং অজিত পাওয়ারের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেছেন অমিত শাহ। এরপরেই আসন রফা চূড়ান্ত হয় বলে খবর। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজেপি, শিন্ডেসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি তাদের জেতা আসনে প্রার্থী দিতে পারবে।
এছাড়াও শিন্ডেসেনা ও অজিত পাওয়ারের এনসিপিকে আরও বেশ কয়েকটি আসন ছাড়া হবে। তবে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ওই দুই দলের প্রার্থীদের বিজেপি প্রতীকে লড়তে হতে পারে প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে খবর। সূত্রের খবরে আরও জানা গিয়েছে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এনডিএ জোটের নেতাদের বিরূপ মন্তব্য না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি। সেই সঙ্গে কোনও সমস্যা দেখা দিলে, তা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য জানিয়েছেন আর্জি।
বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি আসন ভাগাভাগি
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিজেপি। অজিত পাওয়ারের এনসিপিকে দেওয়া হয়েছে তিনটি আসন। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জয়ী রায়গড় আসনটি। ১০টি আসন ছাড়া হয়েছে শিন্ডেসেনার জন্য। আরও চারটি আসন একনাথ শিন্ডে শিবিরকে দেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে লোকসভা নির্বাচনে ৩৭০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে এনডিএ জোটের সবচেয়ে বড় শরিক বিজেপি। সেই কারণে মহারাষ্ট্রেও সবচেয়ে বেশি আসনে তারা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অজিত শিবিরে ক্ষোভ
অমিত শাহের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে বৈঠক এনসিপির অজিত শিবিরকে খুশি করতে পারেনি বলে খবর। তিন নয়, ১০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে দলটি অনড়। ধারাশিব, পারভানি, বুলধানা, গদাচিরোলি, মাধা, হিঙ্গোলি, বারামতি, শিরুর, সাতরা এবং রায়গড়ে দলটি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়া, একাধিক আসনে বিজেপির সঙ্গে শিন্ডেসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি বিরোধ এখনও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। আসন রফা নিয়ে বৈঠকের ফলাফল কী দাঁড়ায়, সেটা জোটের প্রার্থী ঘোষণা পরেই জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।