• ৬ কোটি টাকায় তৈরি জলের ট্যাঙ্ক আছে, জল নেই! ভোগান্তি ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকায়
    এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৪
  • প্রতি ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর জল জীবন মিশন প্রকল্পের প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয় করে তৈরি করেছিলেন জলের ট্যাঙ্ক। কিন্তু, ২০১৮ সালে তৈরি হওয়ার পর এখনও তা চালু না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ঘাটালের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। পানীয় জলের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি।ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মূলগ্রাম এলাকায়। জানা গিয়েছে, বাংলার প্রতি ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর জল জীবন মিশন প্রকল্পের আওতায় তিন বছর আগে ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয় করে ঘাটালের মূলগ্রামে ২০১৮ সালে তৈরি হয়েছিল জলের ট্যাঙ্ক। কিন্তু, বেশ কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও সেই ট্যাঙ্ক থেকে জল সরবরাহের সুবিধা পাচ্ছেন না গ্রামের মানুষজন, অভিযোগ এমনটাই।

    এদিকে জলের ট্যাঙ্ক চালু না হওয়ায় পাম্প থেকে সরাসরি পানীয় জল দেওয়া শুরু হয়েছে। এই সুবিধা পাচ্ছেন কাছাকাছি কয়েকটি ঘরের বাসিন্দারা। এর ফলে সমস্যায় পড়ছেন মূলগ্রাম, বীর মোহনপুর, হেমনগর, আলুই,আজমনগর সহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষ। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘দিদির সদিচ্ছা রয়েছে। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। তিনি প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য় উদ্যোগী হয়েছেন। সাধারণ মানুষকে এই বিষয়ে আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও কেন এই ধরনের প্রকল্প আটকে রাখা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা উচিত। সাধারণ মানুষের কাছে পানীয় জল একটি অন্যতম বড় চাহিদা। ফলে আমরা পানীয় জলের জন্য সমস্যায় পড়ছি। আশা করি প্রশাসন অতি দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ করবে।’

    পানীয় জল সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ কর। তিনি বলেন, 'মূলগ্রামে ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয় করে পিএইচপি কাজটি অসম্পূর্ণ রেখেছে। এজেন্সির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। সংশ্লিষ্ট দফতরের নতুন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছি এবং ঘাটালের মহকুমা শাসককে বিষয়টি জানাব। দ্রুত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য জানিয়েছি।' এখন দেখার কবে এই জলের ট্যাঙ্ক চালু হয়, জল সমস্যার সমাধান হোক, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে এলাকাবাসী।

    গোটা বিষয় নিয়ে ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানিয়েছেন, বিষয়টি তারা শুনেছেন। খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • Link to this news (এই সময়)