'লকেট দিদির দেখা নাই, তাই বিজেপির ভোট নাই', পোস্টার হুগলির খন্যানজুড়ে
এই সময় | ০৭ মার্চ ২০২৪
'বিগত ৫ বছরে ইটাচুনা খন্যান অঞ্চলে একদিনও লকেট দিদির দেখা নাই, তাই এইবারে এখানে বিজেপির ভোটও নাই', এমনই পোস্টার পড়ল পাণ্ডুয়ার খন্যান কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। গত পাঁচ বছর ধরে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবারও লোকসভা ভোটে তাঁকেই টিকিট দিয়েছে বিজেপি। লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন জোর কদমে। ২০১৯ সালে লকেট চট্টোপাধ্যায় পরাজিত করেছিলেন তৃণমূলের রত্না দে নাগকে। রত্না এখন পাণ্ডুয়ার বিধায়ক। লকেট ২০২১ সালে চুঁচুড়া বিধানসভায় প্রার্থী হয়ে তৃণমূলের অসিত মজুমদারের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। আবারও লোকসভায় লড়াই করছেন। এদিকে চুঁচুড়ায় তাঁর দলেরই নিচুতলার কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। আর এবার খন্যানে লকেটকে ভোট না দেওয়ার পোস্টার পড়ল।বিজেপি হুগলি জেলা সংখ্যা লঘু মোর্চার সভানেত্রী রুখসানা বিবি বলেন, 'যতই পোস্টার লাগাক, যেদিন লকেটদি যেদিক থেকে প্রার্থী হয়েছেন, বিরোধীদের ঘুম ছুটে গিয়েছে। ওই সব পোস্টার লাগিয়ে কিছু লাভ হবে না। লকেট চট্টোপাধ্যায় জিতবেন।' এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারাদের অভিযোগ, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দেখা পাওয়া যায় না এটা সঠিক। তবে কে বা কারা পোস্টার মেরেছে তা তাঁদের জানা নেই। লকেট নির্বাচন এলেই পরিযায়ী পাখির মত আসেন।
অন্যদিকে হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সম্পাদক অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'যাঁরা এই পোস্টার লাগিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আমি সহমত। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দেখা পাওয়া যায় না। কিন্তু তৃণমূল এইসব নাম গোত্রহীন পোস্টারের বিরোধী। যাঁদের সৎ সাহস থাকবে তাঁরা সরাসরি প্রতিবাদ করবে। এটা সম্পূর্ণভাবে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের ফল। তৃণমূল এই কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত নয়।'
এই ধরনের পোস্টার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলবে?হ্যাঁনাজানি না
তবে লকেটের বিরুদ্ধে পোস্টার এবারই প্রথম নয়। এর আগেও পোস্টার দেখা যায় তাঁর বিরুদ্ধে। সেই পোস্টারে লেখা হয়, কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আবেদন বহিরাগত লকেট চট্টোপাধ্যায়কে শ্রীরামপুর লোকসভায় চাপিয়ে দেওয়া চলবে না, তৃণমূলকে হারাতে শ্রীরামপুরের ভূমিপুত্র চাই।' সেই কথার নিচে আরও লেখা দেখা যায়, 'দয়া করে কেউ আমাদের তৃণমূল বা কংগ্রেস ভাববেন না, আমরা বিজেপি কর্মী।' শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের বেশকিছু জায়গা, যেমন শেওড়াফুলি, বৈদ্যবাটি, শ্রীরামপুরে দেখা যায় ওই পোস্টারগুলি পোস্টার। তবে কে বা কারা ওই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছিল তা জানা যায়নি। যদিও সেই সময় ওই পোস্টারের বিষয়ে একেবারেই গুরুত্ব দেননি লকেট চট্টোপাধ্যায়। এখন দেখার বারংবার এই ধরনের বিরোধিতাকে কী ভাবে সামাল দেন লকেট।