Narendra Modi: পাঁচ বছর পরে ভূস্বর্গে আজ কী বার্তা নমোর
এই সময় | ০৭ মার্চ ২০২৪
এই সময়, নয়াদিল্লি: পাঁচ বছর পরে আজ, বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরে পা দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ শ্রীনগরের বকসি স্টেডিয়ামে জনসভায় তাঁর ভাষণ দেওয়ার কথা৷ লোকসভা ভোটের আগে উপত্যকার মাটিতে দাঁড়িয়ে একদিকে সরকারি উন্নয়নের বার্তা, অন্যদিকে জঙ্গি দমন অভিযান নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি, খোলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে উঠে আসতে পারে সবকিছুই৷উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে এই প্রথমবার জম্মু-কাশ্মীরে কোনও জনসভাকে সম্বোধন করবেন নমো৷ প্রথমে ঠিক ছিল, শ্রীনগরের কনভেনশন সেন্টার হলে একটি সভা আয়োজিত হবে৷ পরে স্থান পরিবর্তন করে জনসভা করার কথা হয়েছে এবং শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বকসি স্টেডিয়ামে সভার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে কাশ্মীরের এই জনসভা থেকে গোটা দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য পেশ করবেন, সেখান থেকে প্রচুর রাজনৈতিক মাইলেজ পাওয়া যাবে বলে দাবি করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷
ইতিমধ্যেই বিজেপির সদস্য-সমর্থকরা স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকা মুড়ে দিয়েছেন ৫০,০০০-র বেশি পতাকা ও ফেস্টুনে৷ সঙ্গে থাকছে নমোর বিশাল কাটআউট৷ তাত্পর্যপূর্ণ হলো, ২০১৪ এবং ২০১৫ পরপর দু’বছর প্রধানমন্ত্রী শ্রীনগরে দু’টি বড় জনসভাকে সম্বোধন করেছিলেন শের-ই-কাশ্মীর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে৷ তারপরে উনি শ্রীনগরে আর কোনও প্রকাশ্য জনসভায় ভাষণ দেননি৷
২০১৮ থেকে জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল শ্রীনগরের বকসি স্টেডিয়াম৷ গত বছরের স্বাধীনতা দিবসে আয়োজিত প্যারেডের মাধ্যমে ফের তা খুলে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য৷ এরপরে সাম্প্রতিক কালের মধ্যে এই প্রথম বকসি স্টেডিয়ামে এত বড় মাপের জনসভা আয়োজিত হতে চলেছে৷ ‘বিকশিত ভারত, বিকশিত জম্মু কাশ্মীর’ শীর্ষক এই জনসভায় প্রধানমন্ত্রী কোন কোন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের ঘোষণা করেন, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন কাশ্মীরের অধিবাসীরা৷
পাশাপাশি সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে জঙ্গি মুক্ত জম্মু-কাশ্মীর গড়ে তোলার ডাক দিয়ে নমো লোকসভা ভোটের আগে পাকিস্তানের উদ্দেশে কোনও বার্তা দেন কি না, সেদিকেও চোখ থাকবে রাজনৈতিক মহলের৷ উপত্যকার প্রভাবশালী বিজেপি নেতা, দলের সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ বলেন, ‘একসময়ে জম্মু-কাশ্মীরকে উগ্রপন্থার রাজধানী বলে চিহ্নিত করা হতো৷ প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নমূলক নীতি ও সুশাসনের কারণে কাশ্মীর তার হৃত গৌরব ফিরে পেয়েছে। আজ তা দেশের পর্যটন রাজধানী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে৷ এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই জম্মু-কাশ্মীরের সার্বিক উন্নয়নকে নতুন দিশা দেবেন৷’