• Recruitment Scam: বিশেষ বেঞ্চে সব মামলার শুনানি নিয়ে প্রশ্ন, স্যাংশনে জারি সংশয়
    এই সময় | ০৭ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: এসএসসির মাধ্যমে স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের সব মামলা শোনার এক্তিয়ার নিয়ে এ বার প্রশ্ন তুললেন বিতর্কিত চাকরি-প্রাপকরা। তাঁদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের রায় দেখিয়ে যুক্তি দেন, শীর্ষ আদালতে যাওয়া ২০১৬-র নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট ১৯টি মামলা ফয়সালার জন্যেই বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ হয়েছিল। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে বুধবার শুনানিতে এতদিন পরে কেন হঠাৎ এই প্রশ্ন তোলা হলো, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে আইনজীবীদের একাংশের মধ্যে।বিতর্কিত চাকরি-প্রাপকদের আরও বক্তব্য, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি চাইলে সব মামলা বিশেষ বেঞ্চে শুনানির জন্যে পাঠাতেই পারেন। সেই এক্তিয়ার তাঁর আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সামনে রেখে বিশেষ বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। ফলে এখন যাবতীয় মামলার শুনানি যদি বিশেষ বেঞ্চে হয়, আর যে কেউ এসে সেই সব মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন করেন, তা হলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট করা ১৯টি মামলার ফয়সালা হবে কী ভাবে? আদালত অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

    এ দিনও সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলায় অনুমোদন বা স্যাংশন সংক্রান্ত প্রশ্নে সদুত্তর দিতে পারেনি রাজ্য। বিরক্তি প্রকাশের পরেও আদালত ফের এক দিন সময় দিয়েছে রাজ্যকে। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের কৌঁসুলি অনির্বাণ রায় বলেন, নির্বাচন এসে গিয়েছে, ‘এই মুহূর্তে ওই অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক।’

    তাতে বিচারপতি স্পষ্ট জানান, ‘কোনও মতেই আর তা সম্ভব নয়। দু’বছর ধরে আপনারা বসে আছেন আবেদন চেপে রেখে। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে। সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে জানুয়ারিতে। তার আগে ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে তারা রাজ্যের স্যাংশান পেতে আবেদন করেছিল। তার পরেও তাগাদা দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু আবেদনে সাড়া বা প্রত্যাখ্যান--কোনওটাই করেনি রাজ্য।’ রাজ্যের তরফে বলা হয়, ‘কেন সিবিআই অনুমতি না পাওয়ার যুক্তিতে হাত গুটিয়ে বসে আছে, তাই বোধগম্য হচ্ছে না। আর একদিন সময় দেওয়া হোক। আমরা দেখিয়ে দেব, ট্রায়ালের মধ্যে যে কোনও সময়েই ওই অনুমতি দেওয়া যায়।’ আজ, বৃহস্পতিবার সেই অবস্থান জানাবে রাজ্য।
  • Link to this news (এই সময়)