• Jono Gorjon Sabha : এক ইঞ্চি জমিও নয়! দিল্লিতে গর্জন পৌঁছাতে বার্তা মমতার
    এই সময় | ০৭ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও যে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের শাসক দলকে ছাড়া হবে না—সেই বার্তা দিতে রাজ্যের মানুষকে আগামী রবিবার ব্রিগেডে আসার আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরসি, আধার-কার্ড বাতিল করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য বাংলার মানুষকে এই সমাবেশ আসতে অনুরোধ করেছেন তৃণমূলনেত্রী। আগামী রবিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভা হতে চলেছে।কাল, শুক্রবার থেকেই রাজ্যের দূরবর্তী অঞ্চল থেকে মানুষ ব্রিগেডমুখী হতে শুরু করবে। এই প্রেক্ষাপটে বুধবার ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে ফেসবুক বার্তায় মমতা বলেন, ‘যাঁরা বাংলায় রয়েছেন, তাঁরা দল বেঁধে ব্রিগেডে আসুন। এনআরসির বিরুদ্ধে , আধার কার্ড বাতিল করে দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে, মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখার চক্রান্তের বিরুদ্ধে আসুন ব্রিগেডে। কথা দিন, জীবন দিতে তৈরি আমরা। কিন্তু এনআরসি করতে দেবো না। বাংলা ভাগ হতে দেবো না। একজোট হয়ে শপথ নিই, আমরা হারব না। এক ইঞ্চি জমিও বিনা লড়াইতে ছাড়ব না। আমরা লড়ব এবং আমরা জয়ী হব।’

    কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে এই ব্রিগেড সমাবেশের মূল ফোকাল পয়েন্ট করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ব্রিগেড সমাবেশের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে প্রচার-সভা চলছে, সেখানে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের কী বলতে হবে—তা নিয়ে নির্দিষ্ট টকিং পয়েন্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তর থেকে পাঠানো হয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পাশাপাশি মমতার নেতৃত্বাধীন জনপ্রিয় প্রকল্পগুলি নিয়েও বিশদে বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি সাংসদদের বাংলা-বিরোধী কাজকর্ম নিয়েও প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মমতা এ দিন ফেসবুক বার্তায় বলেছেন, ‘বাংলায় বিকৃত সংস্কৃতি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। অপসংস্কৃতির নাম করে বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা হচ্ছে। এই অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে আসুন, গর্জন ব্রিগেড করি। যে গর্জনের মধ্যে দিয়ে দিল্লির কানে আওয়াজ পৌঁছবে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আসুন, একদিনের জন্য সবাই সমবেত হই।’

    ব্রিগেড সমাবেশে রেকর্ড ভিড় করতে তৃণমূল প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কলকাতা ও বিধাননগরে একাধিক স্টেডিয়াম, পার্কে দূরবর্তী জেলার মানুষের রাত্রিবাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামেও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে এ দিন তৃণমূলের দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়।

    কলকাতার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষের অভিযোগ, ‘২১ জুলাই বা দলের কোনও বড় সমাবেশ থাকলে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়। এবারও তাই দেওয়া হয়েছে। আজ সেই ব্যবস্থাপনা দেখতে আসার কথা ছিল আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শেষ পর্যন্ত তিনি আসেননি। আচমকাই আমার উপরে বহিরাগতদের নিয়ে হামলা করা হয়।’ কলকাতার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার লিপিকা মান্নার সঙ্গে সুশান্তকে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তেও দেখা গিয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)