রাজনীতিতে যোগদানের কথা আগেই জানিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি বেলা ১২.২০ মিনিট নাগাদ বাড়ি থেকে বার হন। কিছুটা লেট হওয়ার জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। এদিন বেলা ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ বিজেপিতে যোগদান করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে কার্যালয় নিয়ে আসেন অগ্নিমিত্রা পল। তাঁর উপর পুষ্পবৃষ্টি করা হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'দল যে দায়িত্ব দেবে তা পালন করব।' এদিন প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রাজনীতিতে যোগদান।' তবে তিনি কোন আসন থেকে লড়বেন এবং আদৌ নির্বাচনে লড়বেন কিনা তা স্পষ্ট হয়নি। তবে এই দিনই বিজেপির দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে, এমনই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এই মুহূর্তে কার্যালয়ে উপস্থিত রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই বড় কোনও ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, অগাস্ট মাসেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেওয়ার কথা ছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কিন্তু, তার আগে রবিবারই তিনি রাজনীতিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করেন।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'আমি বৃহত্তর ক্ষেত্রে পা রাখতে চলেছি। বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেব।' তিনি যে রাজনীতিতে যোগদান করতে চলেছেন, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা মাফিক তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেছিলেন, 'আমি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম, তাঁরাও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে।' গত সাত দিন ধরে তা চলছিল বলে জানান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই না ছাড়ার পরামর্শ সুজন চক্রবর্তীর
তাঁর রাজনীতিতে যোগদানের পরেই লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার বিষয়টি সামনে এসেছিল। এই প্রশ্নের জবাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি লড়াই করা বা না করার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না। যে রাজনৈতিক দলে তিনি যোগদান করবেন, তারাই এই প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবে।
এরপর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল তিনি কোন দলে যোগদান করবেন তা নিয়ে। অবশেষে মঙ্গলবার তিনি স্পষ্ট করেন বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন তিনি। ৭ তারিখ সম্ভাব্য যোগদানের কথাও জানিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, তমলুক থেকে প্রার্থী করা হতে পারে প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।