• Bengaluru Water Crisis: জল তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ বেঙ্গালুরুর, এক ট্যাঙ্কার জলের দাম ছুঁয়েছে ২০০০ টাকা
    এই সময় | ০৭ মার্চ ২০২৪
  • বেঙ্গালুরুতে প্রবল জল সংকট। খরার কারণে তীব্র জলভাব। বেঙ্গালুরু ও আশপাশের এলাকাতেও বোরওয়েল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে সমস্যা। বেঙ্গালুরুর সিলিকন সিটিতে জলের সমস্য়া পড়া স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, 'এখানে জল পাওয়া যাচ্ছে না ৩ থেকে ৪ মাস। ৩ থেকে ৪ দিন অন্তর অন্তর জলের ট্যাঙ্কার আসে। ট্যাঙ্কারের জলের দামও এখন আকাশছোঁয়া। সরকারকে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছি।' বেঙ্গালুরুর আরআর নগরের একটি মাত্র RO প্ল্য়ান্ট চালু রয়েছে। বাইরে লাগানো হয়েছে একটি পোস্টার। ২০ লিটার জলের জন্য় নেওয়া হচ্ছে পাঁচ টাকা। সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মাত্র দুই ঘণ্টার জন্য় জল সরবরাহ। তারপর মিলছে না জল। RO প্ল্যান্টের সামনে দীর্ঘ লাইন। বাসিন্দাদের কথায়, এক মিনিট দেরিতে পৌঁছলেও জল পাওয়া যাচ্ছে না। বিকেল পাঁচটার দিকে আর একবার খুলেছে RO প্ল্যান্ট।স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, গত কয়েক দিন আরআর নগরে জল সমস্যা চরমে পৌঁছে। তাঁর অভিযোগ, একাধিকবার এই সমস্যার কথা প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানানো হলেও কেউ কর্ণপাত করছেন না। একাধিক জলের পাত্র নিয়ে গেলে সেগুলিতে জল ভরতে দেওয়া হচ্ছে না। এমন কী সন্তানদের নিয়ে জল আনতে যাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। পরিবার পিছু জল নেওয়ার পরিমাণ এতটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে দিন দিন দুর্ভোগ বাড়ছে। সন্তানদের নিয়ে জল ভরতে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। চিক্কাল্লাপ্পার নামে এক বাসিন্দার কথায়, 'আমার পরিবারে ছয় জন সদস্য রয়েছে। ঘরে পর্যাপ্ত জল নেই। বাড়ির বাচ্চাদের নিয়ে জল আনতে গেলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার ৭১ বছর। এই বৃদ্ধ বয়সে জলের নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানো ভীষণই কষ্টকর। শিশুদের স্কুলে যাওয়ার আগেই জল আনতে হচ্ছে আমাকে।'

    একই কথা জানিয়েছেন আরআর নগরের পাটাঙ্গেরে আর এক বাসিন্দা। তাঁর কথায়, 'বাড়িতে স্নানের জল। এমনকী গবাদি পশুকে পান করানোর জন্য় জলও নেই। পরিবারের পাঁচ সদস্য়ের পানের জন্য মাত্র একটি পাত্র জল যথেষ্ট নয়। রান্নার জন্য কর্পোরেশনের জলই ব্যবহার করতে হয়। সেই জলই ফিল্টার করে পান করি।' আরআর নগরের বাসিন্দা দিব্যার কথায়, 'তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই জলকষ্ট। প্রতিদিন BWSSB-এর ইঞ্জিনিয়ারকে কল করলেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। প্রতিদিন প্ল্য়ান্টের জলের জন্য় লাইন দিতে হচ্ছে। জনপ্রতি শুধুমাত্র এক ক্যান জলই ভরা যায়। আর সেই এক ক্যান জল ভরতেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টাকর পর ঘণ্টা।' তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রাইভেট ট্যাঙ্কারগুলির থেকে বর্তমানে জল নিতে গেলে গুণতে হচ্ছে মোটা টাকা। বেসরকারি ট্যাঙ্কারের জলের দাম ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। দাম কমানোর কথা বললেন এলাকা আসাই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, প্রশাসনকে একাধিকবার মেইল পাঠানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত সমস্যার কোনও সমাধান মেলেনি। জলের অভাবে ধুঁকছেন এলাকার মানুষ।
  • Link to this news (এই সময়)