তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল 'পিন্টু বাবু'র কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যাপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, 'পিন্টু বাবু ইতনা গুসসা কিউ হ্যায়?' কিন্তু কে এই পিন্টু বাবু? হঠাৎ এই পিন্টু বাবুকে কেনই বা নিশানা করতে গেলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ইতনা গুসসা কিউ হ্যায়, বিজেপি? বদনাম কিউ করতে হ্যায়? কালকেও বিজেপি নেতারা বলে গেলেন, এখানে নাকি মহিলারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিতা হন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি বেঙ্গল ইস দ্য অনলি প্লেস, যেখানে মহিলারা সেফ এবং সেফেস্ট স্টেট। বিহারে বিচার হয় না, ইউপিতে বিচার হয় না, রাজস্থানে বিচার হয় না, হাতরাসে বিচার হয় না, মণিপুরে যখন মহিলারা জ্বলছিল, কোথায় ছিলেন বিজেপি নেতারা? কেয়া পিন্টু বাবু ইতনা গুসসা কিউ হ্যায়?' তবে 'পিন্টু বাবু' বলতে তিনি ঠিক কাকে বোঝাতে চাইছেন তা অবশ্য সেই সময় বোঝা যায়নি।
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'আমরা এখানে আধার কার্ডও কাড়তে দেব না, এনআরসি-ও করতে দেব না। আর মতুয়াদের নিয়ে যে মিথ্যে রাজনীতি, হিন্দু - মুসলমানকে ভাগ করার যে রাজনীতি, তফশিলি - আদিবাসীদের যে ভাগ করার রাজনীতি, আমরা এটা মানব না। সেই জন্য পিন্টু বাবু কো গুসসা হ্যায় বহুত। বিজেপিকে আমি বলি পিন্টু বাবু।'
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি ইস্যুতে বিগত বেশকিছুদিন ধরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই নিয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই সন্দেশখালিতে গিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এমনকী সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। রাজ্যে এসে বিভিন্ন মঞ্চে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন তিনি। এমনকী সন্দেশখালিতে যা ঘটেছে তা যে কারও মাথা লজ্জায় হেঁট করে দেবে বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি সন্দেশখালির ঝড় গোটা বাংলাজুড়ে উঠবে বলেও দাবি করেন মোদী।
সম্প্রতি গ্রামবাসীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সন্দেশখালিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেখ শাহজাহান, সিরাজ, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা, অজিত মাইতিদের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। লাঠিসোঁটা, ঝাঁটা নিয়ে কার্যত মারমুখী হয়ে ওঠেন তাঁরা। পুলিশকে ঘিরেও দেখান হয় বিক্ষোভ। পরে অবশ্য শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর আদালতের নির্দেশে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই।