• মহাকাশে তৈরি হবে টয়লেট! নয়া পরিকল্পনা NASA-র
    এই সময় | ০৭ মার্চ ২০২৪
  • মহাকাশযাত্রা যে কোনও দেশের কাছে একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এর সঙ্গে এমন কতগুলি চ্যালেঞ্জ জড়িয়ে আছে, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা অনেক সময় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রতিদিনকার শৌচকর্ম। এ জন্য সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় মহাকাশচারীদের। আর সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিল নাসা। মহাকাশে টয়লেট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।প্রকৃত ঘটনাটি কী?

    জানা গিয়েছে, ১৯৬০ সালে যখন মকাকাশচারী পাঠানো হয়েছিল, সেই সময় পরিস্থিতি এমন ছিল যে তাদের স্পেস স্যুটে টয়লেট করতে হত। এর ফলে সম্মুখীন হতে হয়েছিল বিপদের। পরবর্তী কালে মহাকাশযাত্রার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার সময় প্ল্যাস্টিক ব্যাগের ব্যবহারের উপর দেওয়া হয়েছিল জোর।

    কিন্তু এই ব্যবস্থাও মহাকাশচারীদের কাছে খুব একটা সুবিধাজনক ছিল না। সম্প্রতি সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। টয়লেট তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।

    টয়লেট তৈরিতে কয়েক কোটি ডলার ব্যয়

    মহাকাশে টয়লেট তৈরির একটি ডিজাইন নাসার বিজ্ঞানীরা করেছেন বলে খবর। সেই ডিজাইন অনুসারে তৈরি করা হবে টয়লেটটি। আর এজন্য খরচ হবে প্রায় ২ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৮৯ কোটি টাকা। টয়লেটটি এমনভাবে তৈরি করা হবে, যাতে মহাকাশচারীদের যেতে সুবিধা হয়।

    এই টয়লেট আকারে ছোট এবং হাল্কা হবে। এতে থাকবে ফুটরেস্ট এবং হ্যান্ডেলের সুবিধা। এটি ব্যবহার এবং পরিস্কারের ক্ষেত্রে যাতে সহজ হয়, সেদিকেও রাখা হয়েছে নজর। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে নাসার মহাকাশযান SpaceX-এ টয়লেট ভেঙে পড়ে তৈরি হয়েছিল বিপত্তি। নভশ্চরদের ন্যাপি পরে ফিরতে হয়েছিল মাটিতে। পৃথিবীতে ফেরার সময় যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য এই পদক্ষেপ বলে সেই সময় জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।

    মঙ্গলে বর্জ্যর স্তূপ

    সম্প্রতি মঙ্গলে বর্জ্য স্তূপের একটি স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ্যে এনেছিল নাসা। তাতে দেখা যায়, প্রায় ৭ টনের বেশি বর্জ্য জমা হয়েছে সেখানে। ল্যান্ডার এবং রোভারে ধ্বংসাবশেষের জেরেই এই বর্জ্য বলে জানিয়েছিলেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। লাল গ্রহে আবর্জনা স্তূপের ছবিটি প্রকাশ্যে আসার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন পরিবেশবিদরা।

    দীর্ঘ সময় ধরে মঙ্গল অভিযানের জন্য এই ঘটনা বলে জানিয়েছিল তাঁরা। অভিযান বন্ধের আর্জি জানানো হয়। স্তূপের পাহাড় বাড়তে থাকলে, আগামী দিনে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।
  • Link to this news (এই সময়)