অনেক সময় পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য স্বামীকে দেখা যায় রাঁধুনির ভূমিকায়। অনেকে আবার নেশা হিসেবে রান্না করে থাকেন। এমন ঘটনা ভুরিভুরি। কিন্তু যদি কোনও বিশেষ ব্যক্তিকে রাঁধুনির ভূমিকায় দেখা যায় বা কেউ তাঁর রান্নার সুখ্যাতি করছেন, তবে তা বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে থাকে।ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের অনেক গুণের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। এবার তিনি যে একজন দক্ষ রাঁধুনি, তা ফাঁস করলেন স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি। প্রধানমন্ত্রীর রান্নার গুণগত মানের তারিফও করেছেন তিনি।
কী বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী?
সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ ম্যাগাজিনের মুখোমুখি হয়েছিলেন সুনক ঘরণী অক্ষতা মূর্তি। হাজির ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও। ম্যাগাজিনটির পক্ষ থেকে যৌথ সাক্ষাৎকারের আয়োজন করা হয়েছিল। সাক্ষাৎকারের সময় কথা প্রসঙ্গে এসে যায় রান্নার বিষয়টি। অক্ষতা জানিয়েছেন, রান্নার ব্যাপারে তাঁর খুব উৎসাহ রয়েছে।
তবে, তাঁর থেকে স্বামী ঋষি বড় রাঁধুনি বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে সুনক প্রায় রান্না করতেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে দেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রান্না করার সময় সুনক পান না বলে জানিয়েছেন অক্ষতা। এরই পাশাপাশি যে কোনও ব্যাপারে সুনক যে তাঁর থেকে বেশি পরিপাটি, তা-ও স্বীকার করে নিয়েছেন।
এখানেই থামেননি ব্রিটেনের ফার্স্ট লেডি। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাঁদের ছাত্রজীবনের কথা স্মরণ করেছেন। অপরিচ্ছন্নতা সুনক কখনও পছন্দ করতেন না বলে জানিয়েছেন। অক্ষতা বলেছেন, পড়াশোনার সময় বিছানায় বসে খেতেন তিনি। প্রায় সুনক দেখা করতে আসতেন তাঁর সঙ্গে। বিছানায় প্লেট দেখতে পেলে, সুনক উগরে দিতেন ক্ষোভ।
সংসারের দায়িত্ব সমান ভাগ
অক্ষতা মূর্তি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলোনার পাশাপাশি সংসারের প্রতি কড়া নজর রয়েছে সুনকের। দুই মেয়ের দায়িত্ব সমানভাবে ভাগ করে নিয়েছেন তাঁরা। সন্তানদের পড়াশোনা সংক্রান্ত দায়িত্ব তাঁর কাঁধে বলে জানিয়েছেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে। বাকি দায়িত্ব সুনকের।
সংসারের দায়িত্ব সমানভাবে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনেক বেশি বই পড়া কিংবা অন্য কাজের সময় যে তিনি পেয়ে থাকেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন অক্ষতা।
কী বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?তিনি যে পাকা রাঁধুনি কার্যত তা স্বীকার করে নিয়েছেন ঋষি সুনক। বর্তমানে সময় না পেলেও, শনিবারের সকালের জলখাবার তিনি যে এখনও নিয়মিত করে থাকেন, তা জানাতে ভোলেননি। স্ক্র্যাম্বলড ডিম তাঁর প্রিয় খাবারের একটি বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।