লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে ইতিমধ্য়েই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে ২৯ ফেব্রুয়ারি ম্যারাথন বৈঠক চলে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে। প্রার্থী নির্বাচনের ব্যাপারে একাধিক বিষয়ে জোর দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। খুঁটিয়ে বিচার করা হয়েছে প্রতিটি 'প্যারামিটার'। সেই 'প্যারামিটারের' মানদণ্ডে যাঁরা ফুল মার্কস পেয়েছেন তাঁরাই জায়গায় করে নিয়েছেন প্রার্থী তালিকায়। এবার দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পালা। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় চূড়ান্ত করতে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে বৈঠক। দ্বিতীয় দফায় আরও অন্তত দেড়শোর বেশি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব আলোচনা করে হরিয়ানা, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের আসনগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি শরিক দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনে লড়তে চলেছে, সেগুলিতেই আসন ও প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা হয়েছে বৈঠকে।বিজেপি মহারাষ্ট্র কোর কমিটি সূত্রে খবর, আসন ভাগাভাগির রফা প্রায় চূড়ান্ত। সূত্রের খবর, বিজেপির ৪৮টি আসনের মধ্যে ৩২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার জন্য ১২টি এবং অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এর জন্য চারটি ছেড়ে দিতে পারে গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খবর, বিজেপির জাতীয় সম্পাদক তথা প্রয়াত বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুণ্ডের মেয়ের পঙ্কজা মুণ্ডে এবার টিকিট পেতে পারে। রাজ্য বিজেপি প্রধান চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলেকে ওয়ার্ধা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হতে পারে। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে মহারাষ্ট্র থেকে প্রায় ১০ নতুন বাছাই করেছে বিজেপি। সম্প্রতি মুম্বই সফরে গিয়ে কনাথ শিন্ডে এবং অজিত পওয়ারের সঙ্গে কথা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর অমিত শাহ। আসন বণ্টনের বিষয়ে দুই শরিক নেতা শিবসেনার একনাথ শিন্ডে এবং এনসিপি-র নেতা অজিত পাওয়ারের সঙ্গে অমিত শাহ বৈঠক করেছেন।
সূত্রের খবর, সপ্তাহান্তে আরও ১৫০ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করতে পারে গেরুয়া শিবির। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে মোটামুটি ৩৪৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। জোট প্রশ্নে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় জটিলতা তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্রে। ওই রাজ্যের ৪৮টি আসনের মধ্যে ২৫টিতে লড়তে চাইছে বিজেপি। কিন্তু তার মধ্যে এমন কিছু আসন রয়েছে, যেগুলিতে পাঁচ বছর আগে জিতেছিল অবিভক্ত শিবসেনা। দুই শরিকের মধ্যে প্রকাশ্য মতপার্থক্য দেখা গিয়েছে রত্নগিরি আসন নিয়ে। বিজেপি নেতা নারায়ণ রাণে চান, তাঁর ছেলে নীতীশ রাণে ওই আসন থেকে লড়ুন। কিন্তু নিজেদের জেতা আসন ছেড়ে দিতে নারাজ একনাথ শিন্ডের শিবসেনা।