Most Educated Person In India: ঝুলিতে ৬৮ ডিগ্রি-ডিপ্লোমা! ভারতের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তিকে চেনেন?
এই সময় | ০৭ মার্চ ২০২৪
কথায় বলে শিক্ষা মানুষকে উদার করে। শিক্ষা ও জ্ঞান ও মানবতার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। শিক্ষা দিয়ে জয় করা যায় বিশ্বের সবকিছু। শিক্ষার কোনও নেই। জ্ঞান ও জানারও কোনও পরিধি নেই। শিক্ষার পরিধি অনন্ত বিস্তৃত। কোনও মানুষের পক্ষেই পৃথিবীর সবকিছু জানা সম্ভব না কখনই। ভারতে বেশিরভাগ জনই স্নাতক বা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। গত কয়েক বছরে কিছুটা হলেও বেড়েছে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের প্রবণতা। এই প্রতিবেদনে এমন একজনের কথা বলব যাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৬৮ ডিগ্রি-ডিপ্লোমা। পড়াশোনা করতে করতে হাঁপিয়ে যাননি তিনি। বরং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পড়াশোনাই নেশা হয়ে গিয়েছে। তিনি বর্তমানে সবচেয়ে শিক্ষিত ভারতীয়।বিশ্বের সবেচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি কে তা নির্ধারিত হয় একজনের ডিগ্রি অর্জনের ভিত্তিতে। সাধারণ ভাবে যাঁর ঝুলিতে যত ডিগ্রি তিনি তত বেশি শিক্ষিত। সেই নিরিখে ভারতের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি কে জানেন? তিনি হলেন ডঃ দশরথ সিং শেখাওয়াত। প্রাক্তন সৈনিক তিনি। দশরথের ঝুলিতে রয়েছে ৬৮টিরও বেশি ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা। ১৯৮৮ সালে স্নাতক পাশ করার পর সেনাবাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। ১৬ বছর সেনাবাহিনীতে চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যান জোরকদমে। 'ভারতের সবচেয়ে যোগ্য সৈনিক' উপাধিতেও ভূষিত হয়েছে দশরথ।
দশরথের ঝুলিতে রয়েছে তিন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি। প্রায় ১৪চি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পাশাপাশি BA, B.Com, B.A.G, B.Ed, LLB-এর মতো একাধিক কোর্স করেছেন। দর্শন, চিকিৎসা বিদ্যা, সাংবাদিকতার মতো বিষয় কোনও কিছুই তাঁর অধ্যয়ন থেকে বাদ পড়েনি। দশরথের আগে পর্যন্ত শ্রীকান্ত জিজকার দেশের সবচেয়ে শিক্ষিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০ ডিগ্রিধারী ছিলেন তিনি। শ্রীকান্ত UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাও পাশ করেন। লিমকা বুখ অফ রেকর্ডসে তিনি ভারতের সবেয়ে শিক্ষিক ব্যক্তি হিসেবে স্থানও পান। শিক্ষাবিদ হিসাবে পৃথিবীতে খুব কম মানুষই আছেন, যাঁরা দশরথ বা শ্রীকান্তের সমকক্ষ বা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারবেন। বিজ্ঞান এবং কলা— এই দুই বিষয়েই নাকি তাঁদের পাণ্ডিত্য অগাধ। অন্যদিকে, ডিগ্রির নিরিখে পৃথিবীর সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তি নিকোলাওস জেনিওস। গ্রিস বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক নিকোলাওস এক জন বিখ্যাত গবেষক এবং শিক্ষাবিদ। জনস্বাস্থ্য, চিকিৎসা গবেষণা এবং শিক্ষা— এই তিন ক্ষেত্রেই তাঁর অবাধ বিচরণ। বহু কৃতিত্বেরও তিনি অধিকারী।