যোগীরাজ্যে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন বিজেপি নেতা, লোকসভা ভোটের আগে চাঞ্চল্য উত্তর প্রদেশে
এই সময় | ০৭ মার্চ ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর প্রদেশে। জৌনপুর জেলার সিকারা থানার বোধপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত বিজেপি নেতার নাম প্রমোদ যাদব। খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা যাদবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।পুলিশ কী জানিয়েছে?
উত্তর প্রদেশে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিজেপির কিষাণ মোর্চার জৌনপুর জেলা সভাপতি প্রমোদ যাদবকে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণপত্র দিতে এসেছিল কয়েকজন। এরপরেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েছিলেন তিনি। গুলির আওয়াজ শুনে পরিবারের লোকজন ছুটে আসে। এরপর যাদবকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকার মৃত বলে ঘোষণা করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা বাইকে চেপে এসেছিল। কিছুটা দূরে বাইকটি রেখেছিল তারা। বিজেপি নেতাকে পরপর তিনবার গুলি করে। এরপর বাইকে চেপে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
কী জানিয়েছে জৌনপুর জেলার পুলিশ সুপার?
বিজেপির কিষাণ মোর্চার জৌনপুর জেলা সভাপতি খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পড়ে যায় শোরগোল। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশের একটি দল। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায় বিজেপি কর্মীদের একাংশ। জেলা পুলিশ সুপার অজয়পাল শর্মা জানিয়েছেন, আততায়ীদের খোঁজে বেশ কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে কী কারণে খুন, তা নিয়ে পুলিশের মধ্যে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের মামহানি আসন থেকে বিজেপির প্রতীকে দাঁড়িয়েছিলেন প্রমোদ যাদব।বিএসপির প্রাক্তন সাংসদ ধনঞ্জয় সিংয়ের স্ত্রী জাগৃতি সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগে জৌনপুরের একটি আদালত প্রাক্তন সাংসদ ধনঞ্জয় সিংকে নমামি গঙ্গে প্রকল্পের ব্যবস্থাপক অভিনব সিংগালকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করে।
বুধবার সেই মামলায় প্রাক্তন সাংসদকে ৭ বছরের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদলত। বিজেপির কিষাণ সভার সভাপতি খুনে এই ঘটনার কোনও যোগ আছে কীনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে মধ্য প্রদেশের উজ্জয়নী জেলায় এক বিজেপি নেতার খুনের ঘটনা ঘটেছিল।
অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তাঁর বাসভবনে হামলা চালিয়ে খুন করে। দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছিলেন বিজেপি নেতার স্ত্রীও। এরপর অভিযুক্তদের খোঁজে মধ্য প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সিট গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার উত্তর প্রদেশে খুন করা হল বিজেপি নেতাকে।