Madrasa: বেআইনি! উত্তর প্রদেশে ১৩ হাজার মাদ্রাসা বন্ধের সুপারিশ
এই সময় | ০৭ মার্চ ২০২৪
দীর্ঘদিন ধরে একাধিক মাদ্রাসার বিরুদ্ধে উঠছিল বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগ। যোগী আদিত্যনাথ সরকার ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠন করেছিল সিট। সরকারের কাছে প্রায় ১৩ হাজার মাদ্রাসা বন্ধের সুপারিশ করল বিশেষ তদন্তকারী দল। বিশ্বের একাধিক দেশের সঙ্গে মাদ্রাসাগুলির যোগ করেছে বলে পেশ করা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।রিপোর্টে কী জানিয়েছে সিট
জানা গেছে, বেআইনি মাদ্রাসাগুলির অধিকাংশ গড়ে উঠেছে নেপাল সীমান্তবর্তী মহারাজগঞ্জ, শ্রাবস্তী সহ মোট ৭টি জেলায়। পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্বের একাধিক দেশের আর্থিক সহায়তায় মাদ্রাসাগুলি গড়ে উঠেছে। মাদ্রাসায় বসে ভারত বিরোধী কার্যকলাপের পরিকল্পনা নেওয়া হয় বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল।
সিট তাঁর রিপোর্টে আরও উল্লেখ করেছে, বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগে নেপাল সীমান্তবর্তী ৫০০ বেশি মাদ্রাসার কাছ থেকে আয় ও ব্যয়ের হিসেবে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই হিসেবে দিতে ব্যর্থ হয়েছে মাদ্রাসাগুলি। সুপরিকল্পিত ষড়য়ন্ত্রের জন্য হাওয়ালার মাধ্যমে মাদ্রাসে নির্মাণে বিশ্বের একাধিক দেশ থেকে অর্থ পাঠানো হত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তদন্তকারী।
মাদ্রাসাগুলি কী দাবি করেছে
উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল জানিয়েছে, অনুদানের টাকায় নির্মাণ হয়েছে বলে দাবি করেছে মাদ্রাসাগুলির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কারা এই অনুদান দিয়েছে, তা জানাতে পারেনি তারা। রাজ্যের একাধিক এলাকায় গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসাগুলির মধ্যে মাত্র ৫ হাজারের স্বীকৃতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সিট। অধিকাংশ মাদ্রাসা সরকারি স্বীকৃতির মান পূরণ করতে না পারায়, সেখানকার পড়ুয়ারা চাকরি পায়নি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
১০০ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা
তদন্তের পর সিট নিশ্চিত করেছে যে নেপাল সীমান্ত এলাকায় গজিয়ে ওঠা ৮০টি মাদ্রাসা বিদেশ থেকে অনুদান পেয়েছে। প্রায় ১০০ কোটি টাকা করে অনুদান পেয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা শিক্ষকদের ভাতা বন্ধ
২০১৬ সালে সমাজবাদী পার্টি সরকার প্রতি মাসে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা করে মাদ্রাসা শিক্ষকদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সেই ভাতার অর্থ বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি সমাজবাদী পার্টি জমানার সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ২৫ হাজারের বেশি মাদ্রাসা শিক্ষকের সাম্মানিক ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবার উত্তরপ্রদেশে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকায় বেআইনি।