China Missile : নতুন প্রজন্মের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ICBM তৈরি চিনের, বাড়ছে উদ্বেগ
এই সময় | ০৮ মার্চ ২০২৪
নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র আইসিবিএম (ICBM) তৈরি করেছে চিন। এ নিয়ে মার্কিন পার্লামেন্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল অ্যান্থনি কটন। নতুন প্রজন্মের এই ক্ষেপণাস্ত্র আমেরিকার নিরাপত্তার কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে করেছেন আশঙ্কা।কী জানিয়েছেন স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার?
মার্কিন পার্লামেন্টে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের কমান্ডার জানিয়েছেন, রাডারের মাধ্যমে এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি নজর রাখা খুব কঠিন। বেজিংয়ের তৈরি নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র আইসিবিএম (ICBM) আমেরিকায় আঘাত হানতে সক্ষম বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। শি জিনপিংয়ের দেশ যে গতিতে ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধ বিমান এবং সাবমেরিন তৈরি করেছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের কমান্ডার।
হামলা চালাতে পারে চিন
চিনের নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র আইসিবিএম (ICBM) তৈরি খবর এমন একটি সময়ে এসেছে, যখন আমেরিকা তাঁর পারমাণবিক অস্ত্র আধুনিকিকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে আমেরিকার কাছে যে ICBM আছে, সেগুলি অনেক পুরনো। সেগুলি বাতিলের তালিকায় ফেলে দিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন।
চিনের এই নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে কেবলমাত্র লড়াই করতে পারে সেন্টিনেল ক্ষেপণাস্ত্র। কিন্তু সেগুলি মার্কিন সেনাবাহিনীতে যুক্ত হতে এখনও ২ বছর সময় লাগবে বলে খবর। পেন্টাগান ৬৫০টি সেন্টিনেল ক্ষেপণান্ত্র কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে।
তাইওয়ান নিয়ে চাপে আমেরিকা
তাইওয়ান ইস্যুতে ওয়াশিংটন এবং বেজিংয়ের সাপে-নেউলে সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। চিন যদি তাইওয়ানে হামলা চালায়, সেক্ষেত্রে চাপ তৈরি হবে আমেরিকার উপর। কারণ, বেজিংয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ভাবতে হবে হোয়াইট হাউসকে। নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র শি জিনপিংয়ের দেশের হাতে থাকায়, এতে আমেরিকার ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, দেশের পারমাণবিক ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে ২০২০ সালে পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পাঁচ বছরের জন্য এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বর্তমানে চিনের ভাণ্ডারে কী পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
অস্বস্তি ভারতেরশুধু আমেরিকা নয়। নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র আইসিবিএম (ICBM) চিনের হাতে আসায়, অস্বস্তি বেড়েছে ভারতেরও। কারণ লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব এখনও রয়েছে। অরুণাচলে সীমান্ত এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে কিছুটা দূরে নিজেদের ভূখণ্ডে গ্রাম তৈরি করেছে চিন। ICBM নিয়ে বেজিংয়ের উপর নজর রাখা হয়েছে বলে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে পাওয়া গেছে ইঙ্গিত।