Gujarat Doctor Ganesh Baraiya : শারীরিক প্রতিকূলতাকে জয়, ৩ ফুট উচ্চতার চিকিৎসকের নজির গড়লেন গুজরাটের গণেশ
এই সময় | ০৮ মার্চ ২০২৪
স্বল্প উচ্চতার জন্য প্রায় আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে প্রতিবেশি এবং বন্ধুদের কটাক্ষ শুনতে হত তাঁকে। তাঁদের মুখ বন্ধ করতে বেছে নিয়েছিলেন পড়াশোনাকে। সমাজে নিজেকে বিশেষ ভূমিকায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে যোগ্য জবাব যে দেওয়া যাবে, মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে গণেশ বারাইয়া-র। সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে ৩ ফুট উচ্চতার ২৩ বছরের গুজরাটের বাসিন্দা গণেশ আজ প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক।গণেশের লড়াইয়ের কাহিনী
২০১৮ সালে ডাক্তারি এনট্রান্স পরীক্ষায় সফল হয়েছিলেন তিনি। এমবিবিএস পড়ার জন্য গুজরাটের ভাবনগর মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন ভর্তি হতে। কিন্তু সেই সময় তাঁকে ভর্তির অনুমতি দেয়নি মেডিক্যাল কাউন্সিল। সংস্থার মতে, গণেশের উচ্চতা কম। জরুরি ভিত্তিতে রোগীর চিকিৎসা করা, তাঁর পক্ষে অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে করা হয়েছিল আশঙ্কা।
আদালতের দ্বারস্থ গণেশ
কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে মুষড়ে পড়েছিলেন গণেশ বারাইয়া। পরিবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারের স্কুলের শিক্ষক এবং তাঁর শুভাকাঙ্খীদের পরামর্শ নিয়েছিলেন তিনি। তাঁরাই তাঁকে এ ব্যাপারে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য দিয়েছিলেন পরামর্শ। এরপরেই মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট হাইকোর্টে দায়ের করেছিলেন একটি মামলা।
মামলাটি পরে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কিন্তু তাতেও দমেননি গুজরাটের ওই বাসিন্দা। শীর্ষ আদালত গণেশের পক্ষে রায় দিয়েছিল। এবং ভাবনগর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন গণেশ
দীর্ঘ আইনি পথ পার করে ২০১৯ সালের ১ অগস্ট গুজরাটের ভাবনগর মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস পড়তে ভর্তি হয়েছিলেন গণেশ বারাইয়া। শুরু হয় তাঁর চিকিৎসক হওয়ার লড়াই। সম্প্রতি ফাইনাল পরীক্ষায় ভালো ফল করে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ভাবনগরের একটি সরকারি হাসপাতালে ইন্ট্রান হিসেবে কর্মরত তিনি।
কী বলছে মেডিক্যাল কলেজের ডিন?
শারীরিক প্রতিকূলতার সত্বেও গণেশ বারাইয়া এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করায় খুশি ভাবনগর মেডিক্যাল কলেজের ডিন হেমন্ত মেহতা। গণেশের এই ইচ্ছাশক্তি, অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করছেন তিনি। সেই সঙ্গে আগামী দিনে গণেশের সাফল্যও কামনা করেছেন।
ভাবনগর মেডিক্যাল কলেজের ডিন জানিয়েছেন, এমবিবিএস পড়ার সময় প্রায় সমস্যার কথা জানাতেন গণেশ। কলেজের পক্ষ থেকে সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল। এছাড়া সহপাঠী থেকে শুরু করে শিক্ষকরাও তাঁর দিকে সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।