• PM Narendra Modi : 'উপত্যকার মানুষের মন জয় করতে এসেছি', কাশ্মীরের মাটিতে দাঁড়িয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
    এই সময় | ০৮ মার্চ ২০২৪
  • ভোট বড় বালাই। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরে প্রথম জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন একগুচ্ছ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের। উপত্যকার মানুষের মন জিততেই তাঁর আসা বলে জনসভার মঞ্চ থেকে দিয়েছেন বার্তা।

    কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী

    এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, ভারতের মাথা হচ্ছে কাশ্মীর। তাঁর মতে, এখানকার উন্নয়ন না হলে, দেশের উন্নয়ন হবে না। উন্নত ভারতের জন্য একটি উন্নত জম্মু ও কাশ্মীর তাঁর সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে উপস্থিত জনতার সামনে তুলে ধরেছেন। ঢালাও উন্নয়নের বার্তা দিতে গিয়ে মোট ৫৩টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এই প্রকল্পগুলি কাশ্মীরের উন্নয়নে সাহায্য করবে বলে দিয়েছেন আশ্বাস।

    বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন পূর্বের ইউপিএ সরকারকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, একটা সময় ছিল, যখন ভূস্বর্গের মানুষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। তাঁর সরকারের আমলে সেই ধারণা পালটেছে বলে দাবি করেছেন। তাঁর মতে, উপত্যকার হাসিমুখ দেখে দেশের ১৪০ কোটি মানুশ খুশি হয়েছেন।

    ৩৭০ ধারা নিয়ে কংগ্রসকে নিশানা

    ৩৭০ ধারা নিয়েও সভামঞ্চ থেকে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপের পর কীভাবে শান্তি ফিরেছে, তা জানাতে ভোলেননি তিনি। আর ব্যাপারে কংগ্রেসকে নিশানা করতে ছাড়েননি। ৩৭০ ধারা নিয়ে কংগ্রেস ও তার বন্ধু দলগুলি ভূস্বর্গের পাশাপাশি দেশের মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে বলে করেছেন অভিযোগ। বর্তমানে কাশ্মীরের যুব সমাজের যে প্রতিভার কদর হচ্ছে, তা আগামী দিনে বিশ্বকে আকর্ষণ করবে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী।

    নিয়োগপত্র প্রদান

    জনসভার মঞ্চ থেকে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্রও তুলে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। মোট ১ হাজার জনের হাতে এই নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন। এছাড়া, মহিলা থেকে শুরু করে কৃষক সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে মত বিনিময় করেছেন। জনসভার পর জম্মু ও কাশ্মীরে একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ওয়াকিবহাল মতে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে একাংশের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। আর এই ক্ষোভ দূর করার দাওয়াই হচ্ছে উন্নয়ন। এছাড়া যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারলে, কাশ্মীরি যুবকদের বিপথগামী হওয়া থেকে আটকানো যাবে। সেই কারণে নরেন্দ্র মোদীর এই ঢালাও প্রতিশ্রুতি বলে মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)