এই সময়, কালনা: রক্তের সঙ্কট দেখা দিয়েছে কালনা মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে। কোনও কোনও গ্রুপের মজুত রক্তের পরিমাণ শূন্য থাকার পাশাপাশি বাকি গ্রুপের রক্তও তলানিতে পৌঁছেছে। চাহিদা অনুপাতে শিবির না-হওয়ার কারণেই রক্তের এমন আকাল বলে জানা গিয়েছে।সামনেই আবার গ্রীষ্মকাল। তাই সঙ্কট মেটাতে রক্তদান শিবির আয়োজন করে এমন বেশ কিছু সংগঠনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ব্লাড ব্যাঙ্কের একটি বৈঠক হয়। কালনা মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের উপর কালনা মহকুমা ছাড়াও লাগোয়া নদিয়া ও হুগলি জেলারও বেশ কিছু অংশের মানুষ নির্ভরশীল। ফলে এই ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তর চাহিদা রয়েছে।
কিন্তু চাহিদা বাড়লেও সেই অনুপাতে শিবির হচ্ছে না। গত কয়েকদিন কোনও শিবির না-হওয়ার কারণে ব্লাড ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারও তলানিতে। ব্লাড ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এ পজিটিভ এবং এবি নেগেটিভ গ্রুপের কোনও রক্ত নেই। যেটুকু রক্ত মজুত রয়েছে তা হলো— বি পজিটিভ ৩ ইউনিট, এবি পজিটিভ ২ ইউনিট, এ নেগেটিভ ৩ ও বি নেগেটিভ গ্রুপের পরিমাণ ১ ইউনিট।
রক্তসঙ্কটের কারণে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তরা। বৃহস্পতিবার এমন অনেককেই রক্তের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ১২ বছরের ছেলে শুভদীপ মান্ডির এ পজিটিভ গ্রুপের রক্তের জন্য সকাল থেকে হত্যে দিয়ে ব্লাড ব্যাঙ্কে বসেছিলেন মা লক্ষ্মীরানি মান্ডি। তিনি বলেন, ‘বলল অপেক্ষা করতে। জানি না পাব কিনা।’
একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত আফরিন খাতুন, আরিয়ান শেখদের পরিবারকেও। ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিক্যাল অফিসার পার্থসারথী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘বেশি চাহিদা পজিটিভ গ্রুপের রক্তের। রক্তদান শিবির করার জন্য কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। শিবির হলে সঙ্কট কাটবে।’