এই সময়: ছোটবেলায় হাঁ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকত বাচ্চা মেয়েটা। চাঁদ, তারায় ভরা আকাশে লুকিয়ে কত রহস্য। এর পর একদিন ক্লাসরুমটাকেই চন্দ্রপৃষ্ঠের মতো বানিয়ে ফেললেন ক্লাসটিচার। সেই থেকেই ইচ্ছে জেগেছিল, চাঁদে পা রাখতেই হবে। আর সেই জেদেই উদ্দেশ্য সিদ্ধি। প্রথম আরব মহিলা হিসেবে নাসার ট্রেনিং প্রোগ্রামে স্নাতক হলেন নোরা আলমাতরুশি। এবার নোরার টিম ‘দ্য ফ্লাইজ়’ নাসার মিশনে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে চাঁদের মাটি এমনকী মঙ্গলগ্রহেও পাড়ি জমাতে প্রস্তুত!৩০ বছরের নোরার কথায়, ‘এলিমেন্টারি স্কুলে পড়ার সময়ে ক্লাসটিচার ক্লাসরুমের মধ্যে একটা তাঁবু খাটিয়ে দিয়েছিলেন আর ক্লাসরুমের সবকিছু ঢেকে দিয়েছিলেন ধূসর কাপড়ে। আমাদের জন্য বিভিন্ন জিনিস কেটে স্পেসস্যুটের মতো বানিয়েওছিলেন। সেদিন তাঁবু থেকে ক্লাসরুমে পা রাখতেই টিচার বলেছিলেন, চন্দ্রপৃষ্ঠে স্বাগত। সেদিনই ঠিক করেছিলাম, একদিন সত্যিকারের চাঁদের মাটিতে পা রাখব। সেই স্বপ্নই পূরণ হওয়ার পথে।’ কথাগুলো যখন বলছেন, নীল ফ্লাইট স্যুটে জ্বলজ্বল করছে নোরার নাম এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পতাকা।
পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নোরা কাজ করতেন তেলের কারখানায়। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির স্পেস এজেন্সি (ইউএইএসএ) দু’জন অ্যাস্ট্রোনট ক্যান্ডিডেটকে বেছে নেয় মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য। দু’জনের মধ্যে একজন ছিলেন নোরা। দু’বছরের কড়া প্রশিক্ষণ, স্পেসওয়াক অনুশীলনের পর এখন নোরা, তাঁর অন্য সঙ্গী মহম্মদ আলমুল্লা এবং আরও ১০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এখন অভিজ্ঞ মহাকাশচারী। তাঁদের টিমের নাম ‘দ্য ফ্লাইজ়’। নাসার স্পেস স্টেশন থেকে চাঁদ এমনকি মঙ্গল অভিযানেও যাবে এই টিম। নোরার কথায়, ‘আমি চাই চাঁদের বাইরেও যদি কোনও দুনিয়া থাকে, সেখানেও মানুষের পা পড়ুক।’