শুক্রবার সারা দেশের বিভিন্ন মন্দিরে অতি ধূমধামে পালিত হচ্ছে মহাশিবরাত্রি। মহাশিবরাত্রি উপলক্ষ্য়ে কাশীতে ভক্তদের ঢল। বিশ্বনাথ মন্দির ছাড়া ঢল নেমেছে কাশীর দুর্গাকুণ্ডের মণি মন্দিরে। বিশেষ সাজে সাজানো হয়েছে শিবলিঙ্গ। শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে বিশেষ পূজার্চনার আয়োজন করা হয়েছে মন্দিরে। চলবে চার ঘণ্টা ধরে আরতি। পাশাপাশি ভক্তিমূলক গান পরিবেশন করবেন শিল্পীরা।শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে একটানা ৪৮ ঘণ্টা দুই দিন ভক্তদের জন্য খোলা থাকবে মন্দিরের দরজা। এই দুই দিনের মধ্যে যে কোনও সময়ই ভক্তরা শিবলিঙ্গ দর্শন করতে পারবেন। অন্য দিনের মতো নির্দিষ্ট সময় মন্দির বন্ধ হবে না। প্রতিবার শিবরাত্রির দিন জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে দিনভর চলে পূজার্চনা। মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে ৫১ কুইন্ট্যাল দুধ ১১ হাজার কলা দিয়ে তৈরি ঠান্ডাই মহাদেবকে নিবেদন করা হবে। সকাল সাতটা থেকে ভক্তদের মধ্যে চলবে এই প্রসাদ বিতরণ। শিবরাত্রির বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। মন্দিরের বিগ্রহগুলিকে এই সময় বিশেষ ভাবে সাজানো হয়। সন্ধ্যা থেকেই মন্দির প্রাঙ্গন মুখরিত হয়ে ভজন-কীর্তনে। শুক্রবার মণি মন্দিরে রুদ্রাভিষেক ও চার ঘণ্টা আরতি, দর্শন ও পূজা-অর্চনা চলবে রাতভর।
ভোলেবাবার বার্ষিক উৎসব হিসেবে সারা দেশ জুড়ে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে মহাশিবরাত্রি ব্রত ও উপবাস। শিব মন্দিরগুলিতে শিবভক্তদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। শিবরাত্রির দিন শিবের মাথায় জল ঢেলে পুজো ও উপবাস রেখে নিজের মনে ইচ্ছে পূরণ করার প্রার্থনা করেন বহু মানুষ। এই বছর মহা শিবরাত্রি পালিত হচ্ছে ৮ মার্চ। চার প্রহরে চারবার দুধ, মধু, ঘি, গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করে শিবলিঙ্গের পুজোর চলের কথা জনপ্রিয়। কথিত আছে, সিদ্ধচিত্তে শিবের পুজো করলেই নয়, শিবের প্রিয় ফল, ফুল নিবেদন করলে ও শিবের পছন্দের রঙের পোশাক পরলে দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেন ভোলেনাথ।
বিশেষ দিনের জন্য উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বালিশিল্পী অজয় গুপ্তা বিস্কুট দিয়ে তৈরি করলেন কেদারনাথের মন্দির। উল্লেখ্য যে এই শিল্পী গতবছর শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে ১১১১ বিস্কুট দিয়ে তৈরি করেছিলেন শিবলিঙ্গ।
শিবরাত্রি উপলক্ষে কোচবিহারের বাণেশ্বর শিব মন্দিরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বছরের এই একমাত্র বিশেষ তিথিতে এখানে বড় করে মেলাও বসে। রাত্রিতে ধূমধাম করে পুজোও করা হয়।