Burj Khalifa: বুর্জ খালিফার উচ্চতাকে টেক্কা! বিশ্বের সর্বোচ্চ বহুতলের থেকে ৩ গুণ উঁচু পর্বতের সন্ধান সমুদ্রের অতলে
এই সময় | ০৮ মার্চ ২০২৪
সমুদ্রের নীচে আজও কত কিছুই যে অজানা রয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। সেই খাজানার সন্ধান নিরন্তর করে চলেছে বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের পরিশ্রমের কল্যাণেই কাজে আসছে নিত্যনতুন বিস্ময়কর তথ্য। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা সন্ধান পেয়েছেন সমুদ্রের তলদেশের চারটি পর্বতের। শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এই পর্বতগুলির সন্ধান পেয়েছেন। এই পর্বতগুলির এক একটির উচ্চতা বুর্জ খলিফার থেকেও উঁচু।বিজ্ঞানীরা যে পর্বতগুলো আবিষ্কার করেছেন সেগুলোর আকার প্রায় ১ হাজার ৫৯১ মিটার থেকে প্রায় ২ হাজার ৬৮১ মিটার পর্যন্ত, যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার উচ্চতার তিনগুণ বেশি। কিলোমিটারের হিসেবে সবচেয়ে উঁচু পর্বতটির উচ্চতা আড়াই কিলোমিটারেরও বেশি।জানুয়ারি মাসে স্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক কোস্টারিকার গলফিটো থেকে চিলির ভ্যালপ্যারাইসো যাওয়ার পথে অস্তিত্ব খুঁজে পান সমুদ্রের তলদেলে লুকিয়ে থাকা এক চার পর্বতের। এগুলির উচ্চতা মোটামুটি ১ হাজার ৫৯১ মিটার থেকে ২ হাজার ৬৮১ মিটারের মধ্যে। সবচেয়ে উঁচু পর্বতটি বিস্তৃত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে গুয়াতেমালা উপকূলে বিজ্ঞানীরা ১ হাজার ৬০০ মিটার উঁচু আরও এক পর্বত বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছিলেন। স্মিট ওশান ইনস্টিউটের বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছিলেন, সাম্প্রতিক আবিষ্কারের আগে বিশালাকার ওই পর্বতগুলির সম্পর্কে বিশেষ কোনও তথ্য ছিল না। 'সিবেড-২০৩০' নামে একটি প্রকল্পের অধীনে এই সংস্থাটি সমুদ্রের তলদেশে মানচিত্র তৈরির কাজ করে। বর্তমানে শেষ হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ কাজ।
বিজ্ঞানীরা 'গ্র্যাভিটি অ্যানোমেলিস' পদ্ধতি ব্যবহার করে সমুদ্রের তলদেশের মানচিত্র তৈরি করেছেন। জানিয়েছেন, সমুদ্রের আকৃতির পরিবর্তনগুলি সামান্য পরিবর্তন ঘটায় সমুদ্রের উপরিভাগেও। জলের নীচে গভীর এলাকা কিংবা একটি পর্বত জলের উপরিভাগের তারতম্যের সৃষ্টি করতে পারে।
এখন পর্যন্ত সমুদ্রতলের ১৫ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকায় সমীক্ষা চালিয়েছেন স্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। এই অঞ্চলটিতে রয়েছে ২৯টি পাহাড়, পর্বত ও গভীর খাদ। বিজ্ঞানীদের দাবি, জলের নীচে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জলের নীচের খাদগুলো প্রায়ই গভীর সমুদ্রের প্রবাল প্রাচর ও জলজ বনের সৃষ্টি করে। জলজ প্রাণীদের নিরাপদ আশ্রয় এবং খাদ্য জোগায় এই অঞ্চলগুলো।
সম্প্রতি কিছু গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, সমুদ্রের নীচেও আছে আগ্নেয়গিরি। সক্রিয় আগ্নেয়গিরির সংখ্যা প্রায় ১০০ থেকে ১০০০টি। পৃথিবীতে মোট আগ্নেয়গিরির চার ভাগের তিন ভাগ আছে সমুদ্রের নীচে। লাভা জমে তৈরি হয়েছে বড় বড় পাহাড়। গভীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষের বেশি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ। প্রায় ৩৮০০ মিটার গভীরতায় আজও পড়ে রয়েছে টাইটানিক।