Indo-China Relation: যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন, বাড়ছে উদ্বেগ, টার্গেটে কোন দেশ?
এই সময় | ০৮ মার্চ ২০২৪
গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষ এখনও শেষ হয়নি। ২ বছর পারও হয়ে গেলেও লড়াই থামেনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের। তারই মধ্যে চিনের প্রতিরক্ষা বাজেট কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। প্রতিরক্ষা বরাদ্দ বাড়িয়ে চিনের টার্গেট কী তাইওয়ান? শুরু হয়েছে জল্পনা। অস্বস্তি বাড়িয়েছে ভারতের-ও।
চিনের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ বৃদ্ধি
চিনের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বের একাধিক দেশ। জানা গেছে, ২০২৪ সালে প্রতিরক্ষা বরাদ্দ ৭.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৩১.৩৬ বিলিয়ন ডলার। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, এই বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আমেরিকার পর চিন হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ, যাদের প্রতিরক্ষা বাবদ বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি। বেজিং এমন একটা সময় প্রতিরক্ষা বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে, যখন তাইওয়ান ও লাদাখ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। আমেরিকার সঙ্গেও হয়েছে সম্পর্কের অবনতি।প্রতিরক্ষা বরাদ্দ বৃদ্ধি ভারতের
লাদাখ ও অরুণাচলে লালফৌজের আগ্রাসন ভারতের সঙ্গে চিনের কূটনীতিক সম্পর্কে পড়েছে প্রভাব। তারই মধ্যে চিন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি করায়, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি। বেজিংয়ের পালটা হিসেবে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারও বরাদ্দ বৃ্দ্ধি করেছে। লোকসভা নির্বাচনের জন্য এবার অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেই বাজেটও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৭৫ বিলিয়ন ডলার বা ৬.২১ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে প্রতিরক্ষা বাবদ।
চিনের প্রতিরক্ষা বৃদ্ধি নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ রাহিস সিং জানিয়েছেন, বর্তমানে চিন দু’টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে চাইছে। শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ, বাংলাদেশ ও নেপালের মতো দেশগুলিকে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে ফেলে নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। দ্বিতীয় লক্ষ্য হচ্ছে , প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে অস্ত্র তৈরির করার পরিকল্পনা। আর এই অস্ত্র রফতানি করার উপর দিতে চলেছে জোর।
রাহিস সিংয়ের মতে, বিশ্বে প্রতিরক্ষা সরবরাহ চেইন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে বেজিং। এরই পাশাপশি এশিয়া-প্যাসেফিক অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণে নিজেদের হাতে আনতে চিনের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি বলেও মনে করছেন ওই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ।
প্রসঙ্গত, গত বেশ কয়েক বছর ধরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ানে হামলা চালাতে পারে বেজিং। তাইওয়ানে হামলা চালালে, চিন-মার্কিন লড়াই অবশ্যম্ভাবী বলে আশঙ্কা।