• Indian Army : সীমান্তে উত্তেজনার আশঙ্কা! লাদাখে অতিরিক্ত ১০ হাজার সেনা মোতায়েন ভারতের
    এই সময় | ০৮ মার্চ ২০২৪
  • বিরোধপূর্ণ চিন সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল ভারত। অতিরিক্ত ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। লাল ফৌজের আগ্রাসন রুখতে এবং বিরোধপূর্ণ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতেই বাড়তি সেনা মোতায়েন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত।

    সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন ভারতের

    সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, গত কয়েকদিনে বিরোধপূর্ণ চিনা সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় ৯০ হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, অতিরিক্ত ১০ হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সেনাকে ফাইটিং কমান্ডের অধীনে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের ৫৩২ কিলোমিটার চিন সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হবে।

    সেনা মোতায়েন নিয়ে কুলুপ এঁটেছে কেন্দ্র

    বিরোধপূর্ণ চিন সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। যদিও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সেনবাহিনীর পক্ষ থেকেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এর আগে, ২০২১ সালে চিন সীমান্তে টহলের জন্য অতিরিক্ত ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল ভারত।প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে লাদাখের গালোয়ানে লাল ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনা সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। এরপর সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে ভারত ও চিন সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করে। শুধু তা-ই নয়, দুই দেশই সীমান্তে সামরিক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়।

    সীমান্ত সমস্যা মেটাতে সেনা পর্যায়ে বৈঠক

    সীমান্ত সমস্যা সমাধানে এখনও পর্যন্ত দুই দেশের সেনা পর্যায়ে ২১টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান হলেও, বেশ কয়েকটি সীমান্ত এলাকায় রফাসূত্র এখনও অধরা। যদিও এ ব্যাপারে হাল ছাড়তে নারাজ ভারত। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমধানের পক্ষে সওয়াল করেছে দিল্লি। বিরোধপূর্ণ সীমান্তগুলি উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশ সংলগ্ন।

    উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ড দেবভূমি বলে পরিচিত। এই অঞ্চলকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এজন্য গড়ে তোলা হচ্ছে অবকাঠামো। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এখানকার চিন সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
  • Link to this news (এই সময়)