Mahashivratri 2024 : ৩০ বছর পর জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে শিবরাত্রি পালন, মুসলিমদের জুম্মার নমাজে ভিড় কমানোর আর্জি
এই সময় | ০৮ মার্চ ২০২৪
মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শনে থিকথিকে ভিড় বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে। মঙ্গলারতির সময় লাখ লাখ দর্শনার্থী জড়ো হন বাবা বিশ্বনাথ ধামে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬ জন পুণ্যার্থী দর্শন করেছেন। একইসঙ্গে বিপুল সংখ্যক ভক্ত উপস্থিত হয়েছেন জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে। এর মধ্যেই ছিলেন শৃঙ্গার গৌরি মামলার সমস্ত মামলাকারী মহিলা, তাঁদের আইনজীবীও।জ্ঞানবাপীর অন্দরে শিবের পুজোতিন দশক পর শিবভক্তরা এক সুবর্ণ সুযোগ পান এদিন। শিবরাত্রি উপলক্ষে জ্ঞানবাপী মসজিদের অন্দরে ব্যস জি তয়খানা অর্থাৎ বেসমেন্টে শিবের বিগ্রহে পুজো করা হয়। জ্ঞানবাপী মসজিদের প্রস্থান পথের সামনে থেকেই বেসমেন্টের এই শিবের বিগ্রহ দর্শন করেন অসংখ্য ভক্ত। মামলাকারী মহিলারা এরপর কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে প্রার্থনা করেন। তাঁদের আশা, শীঘ্রই যেন জ্ঞানবাপীতে বন্দি আদিবিশ্বেশ্বরের মুক্তি পান। জ্ঞানবাপীর বেসমেন্ট পরিক্রমাও করেন তাঁরা।
৩০ বছর পর জ্ঞানবাপীর মসজিদের অন্দরে শিবরাত্রিতে পুজো করা হল। প্রস্থান গেটের সামনে থেকে বেসমেন্টে শিবের বিগ্রহ দর্শনের সুযোগ পান ভক্তরা। মামলাকারী হিন্দু মহিলার দল বলেন, 'মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে বাবা বিশ্বনাথের দর্শনে এসেছিলাম। আদিবিশ্বেশ্বর এবং শৃঙ্গার গৌরির মুক্তির জন্য আমরা যে লড়াই লড়ছি, তাতে জয় পাওয়ার জন্য প্রার্থনা জানিয়েছি। জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে আটকে থাকা আদিবিশ্বেশ্বর শীঘ্রই মুক্তি পান, এটাই চাই আমরা। সেই কারণেই বেসমেন্টের বিগ্রহ দর্শন এবং পুজো করি। বেসমেন্টের পরিক্রমাও করেছি আমরা।'
মামলাকারীদের পক্ষ থেকে জুম্মাবারে নমাজ পাঠের জন্য কম সংখ্যক উপস্থিতির দাবি রাখা হয়েছে মুসলিমদের কাছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ভিড়ের জেরে জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে একটি বড় পাথর খসে পড়েছিল। এই জরাজীর্ণ বেসমেন্টের পরিস্থিতি ভালো না, অবিলম্বে মেরামতির প্রয়োজন। শিবরাত্রির দিন ভিড়ের আশঙ্কায় তাই মামলাকারীদের আবেদন এদিন মুসলিমরা যেন কম সংখ্যায় উপস্থিত হন জ্ঞানবাপীতে।
শিবরাত্রির পুজোর লাইভ স্ট্রিমমহাশিবরাত্রি উদযাপনের নন স্টপ লাইভ টেলিকাস্ট দেখাবে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। ৩৬ ঘণ্টা ধরে বারাণসীর এই মন্দিরে চলবে শিবরাত্রির অনুষ্ঠান। ঘরে বসেই সেটি সরাসরি দেখার সুযোগ পাবেন ভক্তরা। মঙ্গলারতি দিয়ে ৮ মার্চ শুরু হবে মহাশিবরাত্রি উদযাপন। ৯ মার্চ শেষ হবে ভোগ আরতি রীতি পালনের মধ্যে দিয়ে। আর এই সবটাই উপভোগ করা যাবে ড্রয়িং রুমে বসে।