এখনও বিজেপির পূর্ণ প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়নি। প্রথম দফায় মাত্র ২০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এরই মধ্যেই বঙ্গ রাজনীতিতে বড় আলোড়ন। বিজেপিতে যোগদান করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, দল তাঁকে যে দায়িত্ব দেবেন তা তিনি পালন করবেন। রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন, তিনি নাকি BJP-র তরফে তমলুকের প্রার্থী হবেন। যদিও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি। বরং বলেছিলেন এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল।এখনও পর্যন্ত BJP-র তরফেও কোনও ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু, তার আগেই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা এলাকা নন্দীগ্রামে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে দেওয়াল লেখার কাজ শুরু হল।
এই প্রসঙ্গে ধনস্বরপুরের বাসিন্দা শোভন কুমার মণ্ডল বলেন, 'তিনি দাঁড়াবেন, শুনছি। তাই এই লেখনী। যদি সত্যিই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দাঁড়ান তা আমাদের দলের জন্য সৌভাগ্য়ের। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছেন। যদি তিনি দাঁড়ান সেক্ষেত্রে এক লাখের বেশি ভোটে জয়ী হবেন।'
স্বাভাবিকভাবেই এই দেওয়াল লিখনী নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের কণ্ঠে। স্থানীয় নেতাদের একাংশের কটাক্ষ, তার মানে কি আগে থেকেই সব ঠিক হয়েছিল? এখন কি শুধু ঘোষণা সময়ের অপেক্ষামাত্র? ঠিক কী বলছে দল? বিষয়টি নিয়ে একদিকে যখন বিজেপির নীচু তলার কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস সেই সময় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে খুব একটা বেশি কিছু মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে গান ধরলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
এদিকে এই দেওয়াল লিখন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তথা বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বলেন, 'এই ধরনের খবর আমার কাছে নেই। দলের তরফে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি দেওয়াল লেখার জন্য। যতক্ষণ না নাম ঘোষণা হয় দেওয়াল লিখন করা যায় না। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখব।'
অন্যদিকে, সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতারাও। এই প্রসঙ্গে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে শোনা গিয়েছে তীব্র কটাক্ষ। তিনি বলেন, 'এত নির্লজ্জ মানুষের খবর রাখি না। তিনি যদি এখান থেকে লড়াই করেন তাহলে খুব ভালো হয়। আমাদের লড়াইটা অনেকটাই সহজ হবে। আমাদের খাটনিটা কমে যাবে। মানুষ তাঁকে গ্রহণ করবে না।'